পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SEfoje গোবিন্দমাণিক্য । কেহ কেহ । গোবিন্দমাণিক্য । विनङन অবধান । সেই মোর প্রাণপণ সাধ জননীরে ফিরে এনে দেব ! জয় হােক মহারাজ, জয় হােক তব । একবার শুধাই তোদের, তোরা কি মায়ের গর্ভে নিস নি জনম ? মাতৃগণ, তোমরা তো মাতৃস্নেহসুধা-বিলো দেখি মা কি নেই ? মাতৃস্নেহ সব হতে পবিত্র প্রাচীন ; সৃষ্টির প্রথম দণ্ডে মাতৃস্নেহ শুধু একেলা জাগিয়া বসে ছিল, নতনেত্ৰে তরুণ বিশ্বেরে কোলে লয়ে। আজিও সে । পুরাতন মাতৃস্নেহ রয়েছে বসিয়া ধৈর্যের প্রতিমা হয়ে । সহিয়াছে কত। উপদ্রব, কত শোক, কত ব্যথা, কত অনাদর- চোখের সম্মুখে ভায়ে ভায়ে কত রক্তপাত, কত নিষ্ঠুরতা, কত অবিশ্বাস- বাক্যহীন বেদনা বহিয়া তবু সে জননী আছে বসে, দুর্বলের তরে কোল পাতি, একান্ত যে নিরুপায় । কী এমন অপরাধ করিয়াছি মোরা যার লাগি সে অসীম মোহ চলে গোল চিরমাতৃহীন করে অনাথ সংসার ! বৎসগণ, মাতৃগণ, বলো, খুলে বলো— কী এমন করিয়াছি অপরাধ ? মা’র বলি নিষেধ করেছ ! বন্ধ মা'র পূজা ! নিষেধ করেছি বলি, সেই অভিমানে বিমুখ হয়েছে মাতা ! আসিছে মড়ক, উপবাস, অনাবৃষ্টি, অগ্নি, রক্তপাতমা তোদের এমনি মা বটে ! দণ্ডে দণ্ডে ক্ষীণ শিশুটিরে স্তন্য দিয়ে বঁাচাইয়ে তোলে মাতা, সে কি তার রক্তপানলোভে ? হেন মাতৃ-অপমান মনে স্থান দিলি যাবে, আজন্মের মাতৃস্নেহস্মৃতিমাঝে ব্যথা বাজিল না ? মনে পড়িল না মা’র মুখ ?— ‘রক্ত চাই ‘রক্ত চাই গরজন করিছে জননী, অবোলা দুর্বল জীব ¢ዓwe)