পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভাতসংগীত না জানি কেমনে পশিল হেথায় পথহারা তার একটি তান, আঁধার গুহায় ভ্ৰমিয়া ভ্ৰমিয়া গভীর গুহায় নামিয়া নামিয়া ছুয়েছে আমার প্রাণ । আজি এ প্ৰভাতে সহসা কেন রে পথহারা রবিকর उठाळ् (*८ পড়েছে আসিয়ে আমার প্রাণের ”পর ! বহুদিন পরে একটি কিরণ গুহায় দিয়েছে দেখা, পড়েছে আমার তঁমাধার সলিলে একটি কনকরেখা । প্ৰাণের আবেগ রাখিতে নারি থর থর করি কঁাপিছে বারি, টলমল জল করে থল থল, কল কল কবি ধরেছে তান | আজি এ প্ৰভাতে কী জানি কেন রে জাগিয়া উঠেছে প্ৰাণ । জাগিয়া দেখি নু চারিদিকে মোর পাষণে রচিত কারাগার ঘোর, বুকের উপরে আঁধার বসিয়া করিছে নিজের ধ্যান । না জানি কেন রে এতদিন পরে জাগিয়া উঠেছে প্ৰাণ । জাগিয়া দেখি নু আমি আঁধারে রয়েছি আঁধা, আপনারি মাঝে আমি আপনি রয়েছি বাধা । রয়েছি মগন হয়ে আপনারি কলস্বরে, ফিরে আসে প্ৰতিধবনি নিজেরি শ্রবণ-’পরে । দূর দূর দূর হতে ভেদিয়া আঁধার কারা মাঝে মাঝে দেখা দেয় একটি সন্ধ্যার তারা । তারি মুখ দেখে দেখে আঁধার হাসিতে শেখে, তারি মুখ চেয়ে চেয়ে করে নিশি অবসান । শিহরি উঠে রে বারি, দোলে রে দোলে রে প্রাণ, প্ৰাণের মাঝারে ভাসি দোলে রে দোলে রে হাসি, দোলে রে প্রাণের পরে আশার স্বপন মম, দোলে রে তারার ছায়া সুখের আভাস-সম | Ο Σ