পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰভাতসংগীত জীবন যাহারে বলে মরণ তাহারি নাম, মরণ তো নহে তোর পর । আয়, তারে আলিঙ্গন কর— আয়, তার হাতখানি ধর । পুনর্মিলন কিসের হরষ কোলাহল শুধাই তোদের, তোরা বল। আনন্দ-মাঝারে সব উঠিতেছে ভেসে ভেসে আনন্দে হতেছে। কভু লীন— চাহিয়া ধরণী-পানে নব আনন্দের গানে মনে পড়ে আর-এক দিন । সে তখন ছেলেবেলা- রজনী প্ৰভাত হলে, সারি সারি নারিকেল বাগানের এক পাশে, বাতাস আকুল করে আম্রমুকুলের বাসে । পথপাশে দুই ধারে ফুটে আছে, শিশুমুখে প্রথম হাসির প্রায়— বাগানে পা দিতে দিতে গন্ধ আসে আচম্বিতে, নরগেস কোথা ফুটে খুঁজে তারে পাওয়া দায় । মাঝেতে বাধানো বেদী, জুইগাছ চারি ধারে— সূর্যোদয় দেখা দিত প্রাচীরের পরপারে। নবীন রবির আলো সে যে কী লাগিত ভালো, সর্বাঙ্গে সুবর্ণসুধা অজস্র পড়িত ঝরে— প্রভাত ফুলের মতো ফুটায়ে তুলিত মোরে । এখনো সে মনে আছে। সেই জানালার কাছে বসে থাকিতাম। এক জনহীন দ্বিপ্রহরে । অনন্ত আকাশ নীল, ডেকে চলে যেত চিল জানায়ে সুতীব্ৰ তৃষা সুতীক্ষ করুণ স্বরে । বাধা ঘাট এক পারেকত লোক যায় আসে, স্নান করে, তোলে জল ܠ ܟ