পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰভাতসংগীত ফুল হয়ে যায় ফল, ফুল ফল বীজ হয়। শেষে, নব নব বৃক্ষ হয়ে বেঁচে থাকে কানন-প্রদেশে । বাষ্প হয়, মেঘ হয়, বিন্দু বিন্দু বৃষ্টিবারিধারা । নিবরি তটিনী হয়, ভাঙি ফেলে শিলাময় কারা । নিদাঘ মরিয়া যায়, বরষা শ্মশানে আসি তার নিবায় জ্বলন্ত চিতা বরাষিয়া অশ্রাবারিধার । বরষা হইয়া বৃদ্ধ শ্বেতকেশ শীত হয়ে যায়, যযাতির মতো পুন বসন্তযৌবন ফিরে পায় । এক শুধু পুরাতন, আর সব নূতন নুতন, এক পুরাতন হৃদে উঠিতেছে নূতন স্বপন । অপূৰ্ণ স্বপন-সৃষ্ট মানুষেরা অভাবের দাস, জাগ্ৰত পূর্ণতা-তরে পাইতেছে কত-না প্ৰয়াস । চেতনা ছিড়িতে চাহে আধো-অচেতন আবরণদিনরাত্রি এই আশা, এই তার একমাত্র পণ । পূর্ণ আত্মা জাগিবেন, কীভু কি আসিবে হেন দিন ? অপূৰ্ণ জগৎ-স্বপ্ন ধীরে ধীরে হইবে বিলীন ? চন্দ্ৰ-সূৰ্য-তারকার অন্ধকার স্বপ্নময়ী ছায়া জ্যোতির্ময় সে হৃদয়ে ধীরে ধীরে মিলাইবে কায়া । পৃথিবী ভাঙিয়া যাবে, একে একে গ্ৰহতারাগণ ভেঙে ভেঙে মিলে যাবে একেকটি বিম্বের মতন । চন্দ্ৰ-সূৰ্য-গ্ৰহ চেয়ে জ্যোতিময় মহান বৃহৎ জীব-আত্মা মিলাইবে একেকটি জলবিম্ববৎ । কতু কি আসিবে, দেব, সেই মহাস্বপ্ন-ভাঙা দিনসত্যের সমুদ্র-মাঝে আধো সত্য হয়ে যাবে লীন ? আধেক প্ৰলয়জলে ডুবে আছে তোমার হৃদয়— বলো, দেব, কবে হেন প্রলয়ের হইবে প্ৰলয় । সৃষ্টি স্থিতি প্ৰলয় দেশশুন্য কালশূন্য জ্যোতিঃশূন্য, মহাশূন্য-পরি চতুমুখ করিছেন ধ্যান, মহা অন্ধ অন্ধকার সািভয়ে রয়েছে দাড়াইয়া কবে দেব খুলিবে নয়ান । অনন্ত হৃদয়-মাঝে আসন্ন জগৎ-চরাচর দাড়াইয়া স্তম্ভিত নিশ্চল, অনন্ত হৃদয়ে তার ভূত ভবিষ্যৎ বর্তমান ধীরে ধীরে বিকশিছে দল । লেগেছে ভাবের ঘোর, মহানন্দে পূর্ণ র্তার প্রাণ নিজের হৃদয়পানে চাহি, Ved