পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু্যামলী Y. S) একলা করছিল কড়িখেলা আমার অপমানের সাক্ষী কনি । দ্বিধা হল না পৃথিবী, i. অবিচলিত রইল চার দিকের নির্মম জগৎ। পরদিন সকালে উঠে দেখি, 嘲 সেই কাগজখানা আমার টেবিলে— শিবরামবাবুর ছবির কাগজ। এত বড়ো দুঃসাহসের গভীর রসের উৎস কোথায়, তার মূল্য কত, সেদিন বুঝতে পারে নি বোকা ছেলে । ভেবেছিলেম, আমার কাছে কনির এ শুধু স্পর্ধার বড়াই। দিনে দিনে বয়স বাড়ছে আমাদের দুজনের অগোচরে, তার জন্তে দায়িক নই আমরা । বয়স-বাড়ার মধ্যে অপরাধ আছে এ কথা লক্ষ্য করি নি নিজে, করেছেন শিবরামবাবু। আমাকে স্নেহ করতেন কনির মা, তার জবাবে ঝাঝিয়ে উঠত তার স্বামীর প্রতিবাদ । একদিন আমার চেহারা নিয়ে থোটা দিয়ে শিবরামবাবু বলছিলেন তার স্ত্রীকে, আমার কানে গেল— "টুক্‌টুকে আমের মতো ছেলে পচতে করে না দেরি, ভিতরে পোকার বাসা ।” আমার পরে ওঁর ভাব দেখে