পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু্যামলী মিলভাঙা এসেছিলে র্কাচ জীবনের পেলব রূপটি নিয়ে— এনেছিলে আমার হৃদয়ের প্রথম বিস্ময়, রক্তে প্রথম কোটালের বান । আধোচেনার ভালোবাসার মাধুরী ছিল যেন ভোরবেলাকার কালো ঘোমটার স্বক্ষ সোনার কাজ— গোপন শুভদৃষ্টির আবরণ। মনের মধ্যে তখনো অসংশয় হয় নি পাখির কাকলী ; বনের মর্মর একবার জাগে একবার যায় মিলিয়ে । বহুলোকের সংসারের মাঝখানে চুপিচুপি তৈরি হতে লাগল আমাদের দুজনের নিভৃত জগৎ । পাখি যেমন প্রতিদিন খড়কুটো কুড়িয়ে এনে বাসা বাধে তেমনি সেই জগতের উপকরণ সামান্ত, চলতি মুহূর্তের খসে-পড়া উড়ে-আসা সঞ্চয় দিয়ে গাথা । তার মূল্য ছিল তার রচনায়, নয় তার বস্তুতে । শেষে একদিন দুজনের নেীকে-বাওয়া থেকে আমি ভেসে চলেছি স্রোতে, তুমি বসে রইলে ও পারের ডাঙায়। ৯৯