পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু্যামলী > 0 } কখনো সফলতায়, কখনো প্রমাদে, চলে এসেছি তোমার জানা সীমার বহুদূর বাইরে ; সেখানে আমি তোমার কাছে বিদেশী । সেই তুমি আজ এই মেঘ-ডাকা সন্ধ্যায় যদি এসে বস আমার সামনে, দেখতে পাবে আমার চোখে দিক-হারানো চাহনি অজানা আকাশের সমুদ্রপারে নীল অরণ্যের পথে । তুমি কি পাশে বসে শোনাবে সেদিনকার কানে-কানে কথার উদ্রবৃত্ত । কিন্তু ঢেউ করছে গর্জন, শকুন করছে চীংকার, মেঘ ডাকছে আকাশে, মাথা নাড়ছে নিবিড় শালের বন । তোমার বাণী হবে খেলার ভেলা খেপাজলের ঘূর্ণিপাকে। সেদিন আমার সব মন মিলেছিল তোমার সব মনে, তাই প্রকাশ পেয়েছে নূতন গান প্রথম স্বষ্টির আনন্দে । মনে হয়েছে, বহু যুগের আশ মিটল তোমাতে আমাতে। সেদিন প্রতিদিনই বয়ে এনেছে নূতন আলোর আগমনী আদিকালে সদ্য-চোখ-মেলা তারার মতো ।