পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু্যামলী > > ○ চোখে যেন দূর ভবিষ্যের আলো, ঠোটে যেন কঠিন পণ তালা-আঁটা । এমন সময় অমিয়া নিয়ে এল থালায় করে জলখাবার— চিড়ে, কলা, নারকেল-নাড়, কালো পাথর-বাটিতে দুধ, এক-গেলাস ডাবের জল । মেঝের উপর থালা রেখে পশমে-বোনা একটা আসন দিল পেতে । খিদে নেই বললে মিথ্যে হত না, রুচি নেই বললে সত্য হত, কিন্তু খেতেই হল । তার পরে শোনা গেল খবর । আমার ব্যবসায়ে আমদানি যখন জমে উঠেছে ব্যাঙ্কে, যখন হু শ ছিল না অার-কোনো জমাখরচে, তখন অমিয়ার বাবা কুঞ্জকিশোরবাবু মাঝে মাঝে লক্ষপতির ঘরের দুর্লভ দুই-একটি ছেলেকে এনেছিলেন চায়ের টেবিলে । সব সুযোগই ব্যর্থ করেছে বারে বারে তার একগুঁয়ে মেয়ে । কপাল চাপড়ে হাল ছেড়েছেন যখন তিনি এমন সময় পারিবারিক দিগন্তে হঠাৎ দেখা দিল কক্ষছাড়া পাগলা জ্যোতিষ্ক— মাধপাড়ার রায়বাহাদুরের একমাত্র ছেলে মহীভূষণ । রায়বাহাদুর জমা টাকা আর জমাট বুদ্ধিতে দেশবিখ্যাত ।