পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিত্রাণ । מסל छांटश भूङ्काश्चन्न फिरड থৈ-থৈ-নর্তন-নৃত্যে, ওরে মন বন্ধনছিন্ন # দাও তালি তাই তাই তাই রে । প্রজা । ঠাকুর, ওই যেন কে আসছে ? ধনঞ্জয় | আসতে দে । 박 প্রজা। কী জানি, খুনে হবে কি ডাকাত হবে, এই অন্ধকার রাত্তিরে বেরিয়েছে। ধনঞ্জয়। খুনেকে তোরাই খুনে করিল, ডাকাতকে করে তুলিস ডাকাত। খাড়া দাড়িয়ে থাক । h প্রজা। প্রভু, বিপদ ঘটতে পারে। আমরা বরঞ্চ একটু সরে দাড়াই— একেবার সামনে এসে পড়বে— তখন— ধনঞ্জয় ওরে বোকারা, পিছন দিকে বিপদ যখন মারে তখন আর বঁাচোয়া নেই– বুক পেতে দিতে পারিস, বিপদ তা হলে নিজেই পিছন ফিরবে। বসন্তরায় ও একজন পাঠানের প্রবেশ পাঠান। কোন হ্যায় রে । প্রজা । দোহাই বাবা, আমরা চাষি লোক— । পাঠান। রাত্তিরে কী করতে বেরিয়েছিল ? 壘 ধনঞ্জয় । রাত্তিরে যারা বেরোয় তাদের সঙ্গে মিলন হবে বলেই বেরিয়েছি। দিনে মিলি কাজের লোকের সঙ্গে, রাত্তিরে মিলি অকাজের লোকের সঙ্গে । পাঠান। ভয় ডর নেই ? t ধনঞ্জয় । দাদা, তোমারও তো ভয় ডর নেই দেখছি। দুই নিৰ্ভয়ে সামনাসামনি দেখাসাক্ষাৎ হল—এ তো পরম আনন্দ । ( প্রজাদের প্রতি ) যাস কোথায় তোরা ! চেনাশোনা করে নে-না ! i বসন্ত। ভাবে বোধ হচ্ছে, তুমিই ধনঞ্জয় ঠাকুর, কেমন, ঠিক ঠাউরেছি কি না ? ধনঞ্জয় । ধরা পড়েছি। রাত-কানা নও তুমি । 3. বসন্ত । তেমন মানুষ অন্ধকারেও চোখে পড়ে । ধনঞ্জয় । তুমিও তো অন্ধকারে ঢাকা পড়বার লোক নও, খুড়ো মহারাজ ! পাঠান । যাঃ চলে । সব ফেসে গেল ! ধনঞ্জয় । কী ফসল দাদা !