পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩২ রবীন্দ্র-রচনাবলী পাঠান। মহারাজের সঙ্গে ঠিক যে সময়টিতে একলা আলাপ জমিয়েছিলুম, তুমি এসে বাগড়া দিলে । * ধনঞ্জয় । খা-সাহেব, তুমি জান না, বাগড়া দিয়েই আলাপ জমান যিনি বড়ো আলাপী । * গান আমার পথে পথেই পাথর ছড়ানো । । তাই তো তোমার বাণী বাজে ঝরনা-ঝরানো । আমার বঁাশি তোমার হাতে ফুটোর পরে ফুটে তাতে, তাই শুনি স্বর অমন মধুর পরান-ভরানো | তোমার হাওয়া যখন জাগে আমার পালে বাধা লাগে, এমন করে গায়ে পড়ে সাগর-তরানো | ছাড়া পেলে একেবারে রথ কি তোমার চলতে পারে ? তোমার হাতে আমার ঘোড় লাগাম-পরানো | বসন্ত। খা-সাহেব, এই তো জমে গেল। আজ পথে বাধা পেয়েছিলুম বলেই তো। যিনি বাগড় দেন জয় হোক তার । ধনঞ্জয়। আজ বেরিয়েছ কোন ডাকে মহারাজ ? বসন্ত। যশোরে চলেছিলুম। ঠাকুর, গ্রামে ডাকাত পড়েছে খবর পেয়ে লোকজনদের সব পাঠিয়ে দিয়েছি। তাই খা-সাহেবকে নিয়ে এই রাস্তার মধ্যেই মজলিশ জমে গেল। ধনঞ্জয় । রাস্তার মাঝখানে হঠাৎ-মজলিশেই মজা মহারাজ। আমিও তোমার এই সভায় হঠাৎ-দরবারী। গণন তুমি হঠাৎ-হাওয়ায় ভেলে-আসা ধন— তাই হঠাৎ-পাওয়ায় চমকে ওঠে মন ।