পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>や8 রবীন্দ্র-রচনাবলী প্রজা। প্রভু, রাগ যে হয় । ধনঞ্জয় । সেইজন্তেই সংসারে কেবল রাগীকেই দেখিস— না রাগতিস, তা হলে যে রাগে না তাকেও দেখতে পেতিস । • পাঠানের পুনঃপ্রবেশ বসন্ত। এই-যে খ-সাহেব ফিরেছে। তুমি যে ফারসি বয়েদগুলি শুনিয়েছিলে, ওগুলি আমাকে লিখে দিতে হবে । পাঠান। দেব হুজুর, কিন্তু একটা কথা নিবেদন করি। ( প্রজাদিগকে দেখাইয়া ) এই এদের সরে যেতে বলো । প্রজা । না, সে হবে না । আমরা ওঁকে ফেলে যাব না । ধনঞ্জয় । কেন যাবি নে রে ? ভারি অহংকার তোদের দেখি । তোরা হলি রক্ষণকর্তা, না ? প্রজা। তুমি যদি হুকুম কর তো যাই। ধনঞ্জয় । রক্ষা করবার যদি দরকার হয়, খা-সাহেব একলা রক্ষা করতে পারবেন। [ প্রজাদের প্রস্থান পাঠান। মহারাজ, আমাকেই রক্ষণ করো। বসন্ত। সে কী কথা ? কিছু বিপদ হয়েছে ? পাঠান। হয়েছে। আমি যদি আজ যশোরে ফিরে যাই, আমার প্রাণ থাকবে না। বসন্ত । সর্বনাশ ! কেন, কী অপরাধ করেছ ? পাঠান। প্রতাপাদিত্য রাজা কাল যখন আমাদের দুই ভাইকে রওনা করে দিলেন, তখন পথের মধ্যে আপনাকে খুন করবার হুকুম ছিল। বসন্ত। কী বল থা-সাহেব ? পাঠান। হা, কিন্তু গোপনে । গোপনও রইল না, তা ছাড়া আপনাকে মারা আমার দ্বারা হবে না, মনিবের হুকুমেও না । এখন আপনার মেহেরবানি চাই । বসন্ত । এখনই চলে যাও রায়গড়ে । তোমার কোনো ভয় নেই। \ [ সেলাম করিয়া পাঠানের প্রস্থান বুকে বড়ো বাজল ঠাকুর । मनः। ধনঞ্জয় । বাজবে বইকি ভাই । ভালোবাস যে— না বাজলে কি ভালো হত ? :