পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

X8b- রবীন্দ্র-রচনাবলী রামমোহন । শুনতেই হবে । রামচন্দ্র। কাল সকালে শুনব । দেখ, বিরক্ত করিস নে । রামমোহন । যুবরাজ ডাকছেন, জরুরি কাজ আছে। রামচন্দ্র। বুঝেছি, শাল বুঝি ঠাট্টার জবাব দিতে চায় ! পারবে না আমার সঙ্গে। রামমোহন । ঠাট্টা শেষ হয়ে গেছে, এখন বিপদের পালা। শীঘ্র এসো। রামচন্দ্র । আর ভয় দেখাতে হবে না, এখন আমার সময় নেই। রামমোহন । এ দিকেও সময় একটুও নেই। আচ্ছা, এই দিকে অস্বিন, বলছি। ( রামচন্দ্রকে জনাস্তিকে ) প্রতাপাদিত্য মহারাজ সব কথা শুনেছেন । রামচন্দ্র । না শুনলে মজাটা কী । রামমোহন। কী বলেন মহারাজ, মজা ! তিনি আপনার শ্বশুর, আপনার ঠাট্টার সম্পর্ক তো নন | রামচন্দ্র। আমার ঠাট্টা চলছে শালাদের নিয়ে । তিনি সেটা যদি গায়ে মাখেন সেটা কি আমার দোষ ? রামমোহন । সে বিচার এখন নয় । আপাতত প্রাণদণ্ডের হুকুম হয়েছে, কাল সকালেই— রামচন্দ্র। তুমি শুনলে কোথা থেকে ? রামমোহন। যুবরাজের নিজের মুখ থেকে। রামচন্দ্র । তোর মতো বোকা দুনিয়ায় নেই রে । যুবরাজ ঠাট্টা করেছে বুঝতে পারিস নে ! প্রাণদণ্ড । রামমোহন । দোহাই তোমার, একটুও ঠাট্ট নয়। রামচন্দ্র। আমাকে ঠাট্টায় ওর হারাতে পারবে না। তুই এখন যা। রামমোহন । আচ্ছা, আমি যুবরাজকে ডেকে আনছি। [ প্রস্থান রামচন্দ্র । ( নটীদের প্রতি ) ধরে গান – নটীদের নাচ ও গান আমার নয়ন তোমার নয়নতলে মনের কথা খোজে । সেথায় কালো ছায়ার মায়ার ঘোরে পথ হারালো ও যে। নীরব দিঠে শুধায় যত পায় না সাড়া মনের মতো, ।