পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>Qやり f রবীন্দ্র-রচনাবলী ধনঞ্জয় । তা হলে তোরা দেখিয়ে দিবি হাত দিয়ে না মেরে কী করে হাতিয়ার দিয়ে মারতে হয়। কী আমার উপকারটা করতেই যাচ্ছ ! তোদের যদি এইরকম বুদ্ধি হয়, তবে এইখানেই থাক । চতুর্থ। না না, তুমি যা বলবে তাই করব, কিন্তু আমরা তোমার সঙ্গে থাকব। তৃতীয় । আমরাও রাজার কাছে দরবার করব । ধনঞ্জয় । কী চাইবি রে ? তৃতীয় । আমরা যুবরাজকে চাইব । ধনঞ্জয় । বেশ, বেশ, অর্ধেক রাজত্ব চাইবি নে ? তৃতীয় । ঠাট্টা করছ ঠাকুর । ধনঞ্জয়। ঠাট্টা কেন করব। সব রাজত্বটাই কি রাজার। অর্ধেক রাজত্ব প্রজার নয় তো কী । চাইতে দোষ নেই রে । চেয়ে দেখিস । চতুর্থ। যখন তাড়া দেবে ? ধনঞ্জয়। তখন আবার চাইব। তুই কি ভাবিস রাজা একলা শোনে। আরো একজন শোনবার লোক দরবারে বসে থাকেন— শুনতে শুনতে তিনি একদিন মঞ্জুর করেন, তখন রাজার তাড়াতে কিছুই ক্ষতি হয় না। গান আমরা বসব তোমার সনে । তোমার শরিক হব রাজার রাজা তোমার আধেক সিংহাসনে । তোমার দ্বারী মোদের করেছে শির নত, তারা জানে না যে মোদের গরব কত, তাই বাহির হতে তোমায় ডাকি তুমি ডেকে লও গো আপন জনে । প্রথম। বাবাঠাকুর, রাজার কাছে যাচ্ছ,কিন্তু তিনি তোমাকে সহজে ছাড়বেন না। ধনঞ্জয় । ছাড়বেন কেন বাপ-সকল । আদর করে ধরে রাখবেন । প্রথম । সে অাদরের ধরা নয় । ধনঞ্জয় ৷ ধরে রাখতে কষ্ট আছে বাপ-- পাহারা দিতে হয়— যে-লে লোককে কি রাজা এত অাদর করে ? রাজবাড়িতে কত লোক যায়, দরজা থেকেই ফেরে— আমাকে ফেরাবে না |