পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিত্রাণ دهد বিভা। তোমার সঙ্গে কাশী যাব। আমি আজ মুক্তি পেয়েছি। এখন তোমার চরণসেবা করে আমার জীবন আনন্দে কাটবে। মোহন, তুই তোর প্রভুর কাছে ফিরে যা । রামমোহন। ওই দেখো মা, ফেরবার পথে আগুন লেগেছে, ওই-যে ময়ূরপংখি চলেছে। ও পথ আমার পথ নয়। ধনঞ্জয়ের প্রবেশ বিভা। বৈরাগী ঠাকুর ! ধনঞ্জয় । কেন দিদি। বিভা। আমাকে তোমাদের সঙ্গ দিয়ে ঠাকুর। উদয়। ঠাকুর, শেষকালে বিভাকেও আমাদের পথ নিতে হল! ধনঞ্জয়। সে তো বেশ কথা। দয়াময় হরি! কী আনন্দ, তোমার এ কী আনন্দ ! ছাড় না, কিছুতেই ছাড় না। শ্বশুরবাড়ির রাস্তার ধারেও ডাকাতের মতো বসে আছে। দিদি, এই মাঝরাস্তায় আমাদের পাগল প্রভুর তলব পড়েছে। একেবারে জোর তলব । চল চল চল চল। পা ফেলে চল। খুশি হয়ে চল। হাসতে হাসতে চল। রাস্ত এমন করে পরিষ্কার করে দিয়েছে— আর ভয় কিসের । গীত আমি ফিরব না রে, ফিরব না আর ফিরব না রে— এখন হাওয়ার মুখে ভাসল তরী, কুলে ভিড়ব না আর ভিড়ব না রে । ছড়িয়ে গেছে মুতো ছিড়ে, তাই খুটে আজ মরব কি রে । এখন ভাঙা ঘরের কুড়িয়ে খুঁট বেড়া ঘিরব না আর ঘিরব না রে । ঘাটের রসি গেছে কেটে, কাদব কি তাই বক্ষ ফেটে ? এখন পালের রসি ধরব কসি, এ রসি ছিড়ব না আর ছিড়ব না রে ।