পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্রপুট লুকিয়ে আসত ছুটি, কাজের বেড়া ডিঙিয়ে, নীল আকাশে বিছিয়ে দিত বিরহের স্বনিবিড় শূন্তত, শিরায় শিরায় মিড় দিত তীব্র টানে না-পাওয়ার না-বোঝার বেদনায় এড়িয়ে-যাওয়ার ব্যর্থতার স্বরে । সেই বিরহগীতগুঞ্জরিত পথের মাঝখান দিয়ে কখনো বা চমকে চলে গেছে খামলবরন মাধুরী চকিত কটাক্ষের অব্যক্ত বাণী বিক্ষেপ ক’রে, বসন্তবনের হরিণী যেমন দীর্ঘনিশ্বাসে ছুটে যায় দিগন্তপারের নিরুদ্দেশে । এমনি ক’রে চিরদিন জেনে এসেছি মোহনকে লুকিয়ে দেখার অবকাশ এই ছুটি অকারণ বিরহের নিঃসীম নির্জনতায় । হাওয়া-বদল চাই— এই কথাটা আজ হঠাৎ হঁাপিয়ে উঠল ঘরে ঘরে হাজার লোকের মনে | টাইম-টেবিলের গহনে গহনে ওদের খোজ হল সারা, সাঙ্গ হল গাঠরি-বাধা, বিরল হল গাঠের কড়ি। এ দিকে, উনপঞ্চাশ পবনের লাগাম র্যার হাতে তিনি আকাশে আকাশে উঠেছেন হেসে ওদের ব্যাপার দেখে | আমার নজরে পড়েছে সেই হাসি, তাই চুপচাপ বসে আছি এই চাতালে কেদারাটা টেনে নিয়ে । २०॥२