রাশিয়ার ਜਿੱਠੇ રક્તવૈ করে চলছে এদের উদ্যোগপর্ব। অথচ রাষ্ট্রব্যবস্থায় সকলের চেয়ে যে অনুংপাদক বিভাগ— সৈনিক-বিভাগ— তাকে সম্পূর্ণরূপে স্বদক্ষ রাখার অপব্যয় এদের পক্ষে অনিবার্ধ। কেননা আধুনিক মহাজনী যুগের সমস্ত রাষ্ট্রশক্তি এদের শত্রুপক্ষ এবং তারা সকলেই আপন আপন অস্ত্রশালা কানায় কানীয় ভরে তুলেছে। t মনে আছে, এরাই ‘লীগ অব নেশনস’এ অস্ত্রবর্জনের প্রস্তাব পাঠিয়ে দিয়ে কপট শান্তিকামীদের মনে চমক লাগিয়ে দিয়েছিল । কেননা নিজেদের প্রতাপ-বর্ধন বা রক্ষণ সোভিয়েটদের লক্ষ্য নয়— এদের সাধনা হচ্ছে জনসাধারণের শিক্ষণ-স্বাস্থ্য-অন্নসম্বলের উপায়-উপকরণকে প্রকৃষ্ট প্রণালীতে ব্যাপক করে গড়ে তোলা, এদেরই পক্ষে নিরুপল্লব শাস্তির দরকার সব চেয়ে বেশি। কিন্তু তুমি তো জান, ‘লীগ অব নেশনস’এর সমস্ত পালোয়ানই গুণ্ডাগিরির বহুবিস্তৃত উদ্যোগ কিছুতেই বন্ধ করতে চায় না, কিন্তু শাস্তি চাই’ বলে সকলে মিলে হাক পাড়ে। এইজন্যেই সকল সাম্রাজ্যিক দেশেই অস্ত্রশস্ত্রের কাটীবনের চাষ অন্নের চাষকে ছাপিয়ে বেড়ে চলেছে। এর মধ্যে আবার কিছুকাল ধরে রাশিয়ায় অতি ভীষণ দুর্ভিক্ষ ঘটেছিল ; কত লোক মরেছে তার ঠিক নেই। তার ধাক্কা কাটিয়ে সবেমাত্র আট বছর এরা নূতন যুগকে গড়ে তোলবার কাজে লাগতে পেরেছে, বাইরের উপকরণের অভাব সত্ত্বেও । কাজ সামান্ত নয়— যুরোপ-এশিয়া জুড়ে প্রকাও এদের রাষ্ট্ৰক্ষেত্র। প্রজামণ্ডলীর মধ্যে যত বিভিন্ন জাতের মানুষ অাছে ভারতবর্ষেও এত নেই। তাদের ভূপ্রকৃতি মানবপ্রকৃতির মধ্যে পরস্পর পার্থক্য অনেক বেশি। বস্তুত এদের সমস্যা বহুবিচিত্র-জাতি-সমাকীর্ণ, বহুবিচিত্র-অবস্থা-সংকুল বিশ্বপৃথিবীর সমস্যারই সংক্ষিপ্ত রূপ | তোমাকে পূর্বেই বলেছি, বাহির থেকে মস্কে শহরে যখন চোখ পড়ল দেখলুম, যুরোপের অন্য সমস্ত ধনী শহরের তুলনায় অত্যন্ত মলিন। রাস্তায় যারা চলেছে তারা একজনও শৌখিন নয়, সমস্ত শহর আটপৌরে-কাপড়-পরা । আটপৌরে কাপড়ে শ্রেণীভেদ থাকে না, শ্রেণীভেদ পোষাকী কাপড়ে । এখানে সাজে পরিচ্ছদে সবাই এক । সবটা মিলেই শ্রমিকদের পাড়া ; যেখানে দৃষ্টি পড়ে সেখানেই ওরা। এখানে শ্রমিকদের কৃষাণদের কি রকম বদল হয়েছে তা দেখবার জন্যে লাইব্রেরিতে গিয়ে বই খুলতে অথবা গায়ে কিম্বা বস্তিতে গিয়ে নোট নিতে হয় না। যাদের আমরা "ভদর লোক’ বলে থাকি তারা কোথায় সেইটেই জিজ্ঞাস্ত । এখানকার জনসাধারণ ভদ্রলোকের আওতায় একটুও ছায়া ঢাকা পড়ে নেই, যারা
