পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\లను রবীন্দ্র-রচনাবলী লোকেদের প্রবেশ নিষেধ, সেখানকার প্রবেশদ্বারে লেখা আছে "ছেলেদের উৎপাত কোরো না । এইখানে ছেলেদের যতরকম খেলনা, খেলা, ছেলেদের থিয়েটার— সে থিয়েটারের ছেলেরাই চালক, ছেলেরাই অভিনেতা । এই ছেলেদের বিভাগ থেকে কিছু দূরে অাছে ereche, বাংলায় তার নাম দেওয়া যেতে পারে শিশুরক্ষণী । মা-বাপ যখন পার্কে ঘুরে বেড়াতে প্রবৃত্ত তখন এই জায়গায় ধাত্রীদের জিন্মায় ছোটো শিশুদের রেখে যেতে পারে। একটা দোতলা মণ্ডপ (pavillion) আছে ক্লাবের জন্য। উপরের তলায় লাইব্রেরি। কোথাও বা সতরঞ্চ-খেলার ঘর, কোথাও আছে মানচিত্র আর দেয়ালে-ঝোলানো খবরের কাগজ । তা ছাড়া সাধারণের জন্যে আহারের বেশ ভালো কো-অপারেটিভ দোকান আছে, সেখানে মদ বিক্রি বন্ধ । মস্কে পশুশালাবিভাগ থেকে এখানে একটা দোকান খুলেছে ; এই দোকানে নানারকম পাখি মাছ চারাগাছ কিনতে পাওয়া যায়। প্রাদেশিক শহরগুলিতেও এইরকমের পার্ক, খোলবার প্রস্তাব আছে। যেটা ভেবে দেখবার বিষয় সেটা হচ্ছে এই যে, জনসাধারণকে এরা ভদ্রসাধারণের উচ্ছিষ্ট্রে মানুষ করতে চায় না । শিক্ষা, আরাম, জীবনযাত্রার মুযোগ সমস্তই এদের ষোলো-আনা পরিমাণে । তার প্রধান কারণ, জনসাধারণ ছাড়া এখানে আর-কিছুই নেই। এরা সমাজগ্রন্থের পরিশিষ্ট অধ্যায় নয় ; সকল অধ্যায়েই এরা । আর-একটা দৃষ্টান্ত তোমাকে দিই। মস্কে শহর থেকে কিছু দূরে সাবেক কালের একটি প্রাসাদ আছে। রাশিয়ার প্রাচীন অভিজাত বংশীয় কাউণ্ট আগ্ৰাকৃসিনদের সেই ছিল বাসভবন। পাহাড়ের উপর থেকে চারি দিকের দৃশু অতি স্বন্দর দেখতে— শশুক্ষেত্র, নদী এবং পার্বত্য অরণ্য। দুটি আছে সরোবর, আর অনেকগুলি উৎস। থামওয়ালা বড়ো বড়ো প্রকোষ্ঠ, উচু বারান্দা, প্রাচীনকালের আসবাব ছবি ও পাথরের মূর্তি দিয়ে সাজানো দরবারগৃহ ; এ ছাড়া আছে সংগীতশালা, খেলার ঘর, লাইব্রেরি, নাট্যশালা ; এ ছাড়া অনেকগুলি সুন্দর বহির্ভবন বাড়িটিকে অর্ধচন্দ্রাকারে ঘিরে श्रांCछ् । এই বৃহৎ প্রাসাদে অলগভো নাম দিয়ে একটি কো-অপারেটিভ স্বাস্থ্যাগার স্থাপন করা হয়েছে, এমন সমস্ত লোকদের জন্য যারা একদা এই প্রাসাদে দাসশ্রেণীতে গণ্য হত। সোভিয়েট রাষ্ট্রসংঘে একটি কো-অপারেটিভ সোসাইটি আছে, শ্রমিকদের জন্যে বাসা-নির্মাণ যার প্রধান কর্তব্য ; সেই সোসাইটির নাম বিশ্রাস্তিনিকেতন : The Home of Rest & stors stoo swiatica এমনতরে আরো চারটে সানাটোরিয়ম এর হাতে আছে। খাটুনির ঋতুকাল