পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२b” রবীন্দ্র-রচনাবলী তবু তারই সঙ্গে সঙ্গে উদঘাটিত হচ্ছে বৃহৎ ইতিহাস, দৃষ্টি চলে না এক পৃষ্ঠা থেকে অন্য পৃষ্ঠায়। শতাব্দীর যে নিরন্তর স্রোত বয়ে চলেছে বিলম্বিত তালের তরঙ্গের মতো, যে ধারায় উঠল নামল কত শৈলশ্রেণী, সাগরে মরুতে কত হল বেশপরিবর্তন, সেই নিরবধি কালেরই দীর্ঘ প্রবাহে এগিয়ে এসেছে এই ছোটো ফুলটির আদিম সংকল্প স্বাক্টর ঘাতপ্রতিঘাতে। লক্ষ লক্ষ বৎসর এই ফুলের ফোটা-ঝরার পথে সেই পুরাতন সংকল্প রয়েছে নূতন, রয়েছে সজীব সচল, ওর শেষ সমাপ্ত ছবি আজও দেয় নি দেখা । এই দেহহীন সংকল্প, সেই রেখাহীন ছবি নিত্য হয়ে আছে কোন অদৃশ্বের ধ্যানে! যে অদৃশ্বের অন্তহীন কল্পনায় আমি আছি, যে অদৃশ্বে বিধৃত সকল মানুষের ইতিহাস অতীতে ভবিষ্যতে। শাস্তিনিকেতন ৫ নভেম্বর ১৯৩৫ হেঁকে উঠল ঝড়, লাগালো প্রচণ্ড তাড়া, স্বৰ্ষাস্তসীমার রঙিন পাচিল ডিঙিয়ে ব্যস্ত বেগে বেরিয়ে পড়ল মেঘের ভিড়, বুঝি ইন্দ্রলোকের আগুন-লাগা হাতিশালী থেকে গা গা শব্দে ছুটছে ঐরাবতের কালো কালো শাবক শুড় জাছড়িয়ে।