পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|రిన్స్e রবীন্দ্র-রচনাবলী করতে হবে ; কেননা তিনি চিরন্তন মানব, সর্বজনীন মানব, তিনি মৃত্যুর অতীত— তাকে যে অর্ঘ্য দিতে হবে সে অর্ঘ্য সকল মাহুষের হয়ে, সকল কালের হয়ে আপনারই অন্তরতম বেদীতে। আপনারই পরমকে না দেখে মানুষ বাইরের দিকে সার্থকতা খুঁজে বেড়ায় । শেষকালে উদভ্ৰান্ত হয়ে ক্লাস্ত হয়ে সে বলে, কস্মৈ দেবায় হবিষা বিধেম । মামুষের দেবতা মানুষের মনের মানুষ ; জ্ঞানে কর্মে ভাবে যে পরিমাণে সত্য হই সেই পরিমাণেই সেই মনের মানুষকে পাই— অস্তরে বিকার ঘটলে সেই আমার আপন মনের মানুষকে মনের মধ্যে দেখতে পাই নে। মানুষের যত-কিছু দুৰ্গতি আছে সেই আপন মনের মানুষকে হারিয়ে, তাকে বাইরের উপকরণে খুঁজতে গিয়ে, অর্থাৎ আপনাকেই পর করে দিয়ে। আপনাকে তখন টাকায় দেখি, খ্যাতিতে দেখি, ভোগের আয়োজনে দেখি। এই নিয়েই তো মামুষের যত বিবাদ, যত কান্না । সেই বাইরে-বিক্ষিপ্ত আপনহারা মানুষের বিলাপগান একদিন শুনেছিলেম পথিক ভিখারির মুখে— আমি কোথায় পাব তারে আমার মনের মানুষ যে রে । হারায়ে সেই মামুষে তার উদ্দেশে দেশ-বিদেশে বেড়াই ঘুরে । সেই নিরক্ষর গায়ের লোকের মুখেই শুনেছিলেম— তোরই ভিতর অতল সাগর। সেই পাগলই গেয়েছিল— মনের মধ্যে মনের মানুষ করো অন্বেষণ । সেই অন্বেষণেরই প্রার্থনা বেদে আছে, আবিরাবীর্ম এধি— পরম মানবের বিরাটরূপে র্যার স্বতঃপ্রকাশ আমারই মধ্যে র্তার প্রকাশ সার্থক হোক । छूहे অথর্ববেদ বলেছেন— ঋতং সত্যং তপো রাষ্ট্রং শ্রমে ধর্মশচ কর্মচ ভূতং ভবিষ্যদুচ্ছিষ্টে বীর্যং লক্ষ্মীর্বলং বলে। ঋত সত্য তপস্তা রাষ্ট্র শ্রম ধর্ম কর্ম ভূত ভবিষ্যং বীর্ষ সম্পদ বল সমস্তই উচ্ছিষ্ট্রে অর্থাৎ উত্ত্বেত্তে আছে। 轴 অর্থাৎ, মানবধর্ম বলতে আমরা যা বুঝি প্রকৃতির প্রয়োজন সে পেরিয়ে, সে আসছে অতিরিক্ততা থেকে। জীবজগতে মানুষ বাড়তির ভাগ। প্রকৃতির বেড়ার মধ্যে তাকে