পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় 39t উন্মখিত ইতিহাস I প্রকাশ লভিতেছিল অকস্মাং স্মৃষ্টিতে প্রলয়ে ; বারদ্বার-অবলুপ্ত সভ্যতার ভূগর্ভবিলীন কবরের পরে উঠেছে হঠাংস্কৃর্ত প্রতাপের স্পর্ধিত পতাক।। স্বাক্টর আরম্ভযুগে থাকে যে স্তম্ভিত অন্ধকার গর্তে বহি শিশু সূর্যতার নিভৃতে আছিলে তুমি তেমনি তমিস্ৰঘন ধরণীর ধ্যানের মন্দিরে । অন্ধকারভাণ্ডারের রহস্তসম্পদ যত, অধরা, অৰ্ছোওয়া, নিতেছিলে সন্ধান তাহার। মায়াবিনী প্রকৃতির যত মায়া | ধরিতে শিখিতেছিলে ইঞ্জিয়ের ফঁাদে । ছায়াচ্ছন্ন হে আফ্রিকা, l, কালো অবগুণ্ঠনের তলে আছিলে অপরিচিত তব প্রতিবেশিনীর কাছে। রূপমদোদ্ধত ইয়ুরোপ দস্থ্যবেশে গিয়েছিল দীপহীন তোমার প্রাঙ্গণে তোমার বক্ষের পরে চালায়েছে রথ, যেখানে বেদনাভরা মানবহৃদয় তরুচ্ছায়ে ছিল প্রসারিত। সভোর বর্বর লোভ নগ্ন করেছিল অন্ধকারে নিলজ্জ অমাহুষিতা । অশ্রু তব রক্ত-সাথে মিশে ভাষাহীন ক্ৰন্দনের পথ দিয়েছে পঙ্কিল করি—