পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্রপুট চিরকাল ধরে আমরা দুজনে বঁাধব সেতু, এই কৌতুহল সমস্ত বিশ্বের অস্তরে।” ভালোবেসেছি তাকে । সেই ভালোবাসার একটা ধারা ঘিরেছে তাকে স্নিগ্ধ বেষ্টনে গ্রামের চিরপরিচিত অগভীর নদীটুকুর মতো । অল্পবেগের সেই প্রবাহ বহে চলেছে প্রিয়ার সামান্য প্রতিদিনের অমুচ্চ তটচ্ছায়ায় । অনাবৃষ্টির কাপণ্যে কখনো সে হয়েছে ক্ষীণ, আষাঢ়ের দাক্ষিণ্যে কখনো সে হয়েছে প্ৰগলভ তুচ্ছতার আবরণে অহুজ্জল অতি সাধারণ স্ত্রী-স্বরূপকে কখনো করেছে লালন, কখনো করেছে পরিহাস, আঘাত করেছে কখনো বা । আমার ভালোবাসার আর-একটা ধারা মহাসমুদ্রের-বিরাট-ইঙ্গিত-বাহিনী। মহীয়সী নারী স্নান করে উঠেছে তারই অতল থেকে। সে এসেছে অপরিসীম ধ্যানরূপে আমার সর্ব দেহে মনে— পূর্ণতর করেছে আমাকে, আমার বাণীকে । জেলে রেখেছে আমার চেতনার নিভৃত গভীরে চিরবিরহের প্রদীপশিখা ৷ সেই আলোকে দেখেছি তাকে অসীম শ্ৰীলোকে, দেখেছি তাকে বসন্তের পুপপল্লবের প্লাবনে, সিমুগাছের র্কাপন-লাগা পাতাগুলির থেকে 8%