পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামলী দ্বৈত সেদিন ছিলে তুমি আলো-আঁধারের মাঝখানটিতে, বিধাতার মানসলোকের মর্ত্যসীমায় পা বাড়িয়ে বিশ্বের রূপ-আঙিনার নাছদুয়ারে । যেমন ভোরবেলার একটুখানি ইশারা, শালবনের পাতার মধ্যে উস্থখুস্থ, শেষরাত্রের গায়ে-কাট-দেওয়া আলোর আড়-চাহনি ; উষা যখন আপন-ভোলা— যখন সে পায় নি আপন ডাক-নামটি পাখির ডাকে, পাহাড়ের চূড়ায়, মেঘের লিখনপত্রে। তার পরে সে নেমে আসে ধরাতলে, তার মুখের উপর থেকে অসীমের ছায়া-ঘোমটা খসে পড়ে উদয়-সাগরের অরুণরাঙা কিনারায় । পৃথিবী তাকে সাজিয়ে তোলে আপন সবুজ-সোনার কাচলি দিয়ে ; পরায় তাকে আপন হাওয়ার চুনরি। তেমনি তুমি এনেছিলে তোমার ছবির তন্ত্ররেখাটুকু আমার হৃদয়ের দিকপ্রাস্তপটে । আমি তোমার কারিগরের দোসর, কথা ছিল তোমার রূপের পরে মনের তুলি