পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ماريا রবীন্দ্র-রচনাবলী সেই আমির গহনে আলো-আঁধারের ঘটল সংগম, দেখা দিল রূপ, জেগে উঠল রস । না কখন ফুটে উঠে হল ‘হা’ মায়ার মন্ত্রে, রেখায় রঙে মুখে দুঃখে । একে বোলো না তত্ত্ব ; আমার মন হয়েছে পুলকিত বিশ্ব-আমির রচনার আসরে হাতে নিয়ে তুলি, পাত্রে নিয়ে রঙ। পণ্ডিত বলছেন— বুড়ে চন্দ্রট, নিষ্ঠুর চতুর হাসি তার, মৃত্যুদূতের মতো গুড়ি মেরে আসছে সে পৃথিবীর পাজরের কাছে। একদিন দেবে চরম টান তার সাগরে পর্বতে ; মর্তলোকে মহাকালের নূতন খাতায় পাতা জুড়ে নামবে একটা শূন্ত, গিলে ফেলবে দিনরাতের জমাখরচ ; মানুষের কীর্তি হারাবে অমরতার ভান, তার ইতিহাসে লেপে দেবে অনন্ত রাত্রির কালি । মানুষের যাবার দিনের চোখ বিশ্ব থেকে নিকিয়ে নেবে রঙ, মানুষের যাবার দিনের মন ছানিয়ে নেবে রস । শক্তির কম্পন চলবে আকাশে আকাশে, জলবে না কোথাও আলো । বীণাহীন সভায় যন্ত্রীর আঙুল নাচবে, বাজবে না স্বর। সেদিন কবিত্বহীন বিধাতা এক রবেন বলে