পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু্যামলী এ তো নয় আমার আটপহুরে চারু। ঠিক এমনি করেই দেখা দিত অন্তযুগের অবস্তিক ভালোলাগার অপরূপবেশে ভালোবাসার চকিত চোখে । অমরুশতকের চৌপদীতে —শিখরিণীতে হোক, স্ৰন্ধরায় হোক— ওকে তো ঠিক মানাতে । সাজের ঘর থেকে বসবার ঘরে ঐ যে আসছে অভিসারিকা, ও যেন কাছের কালে আসছে দূরের কালের বাণী। বাগানে গেলেম নেমে | ঠিক করেছি আমিও আমার সোহাগকে দেব মর্যাদা শিল্পে-সাজিয়ে-তোলা মানপত্রে । যখন ডাকব তোমাকে ঘরে সে হবে যেন আবাহনী । সামনেই লতা ভরেছে সাদা ফুলে— বিলিতি নাম, মনে থাকে না— নাম দিয়েছি তারাঝরা ; রাতের বেলায় গন্ধ তার ফুলবাগানের প্রলাপের মতো। এবার সে ফুটেছে অকালে, সবুর সয় নি শীত ফুরোবার। এনেছি তার একটি গুচ্ছ, তারও একটি সই থাকবে আমার নিবেদনে । আজ গোধূলিলগ্নে তুমি ক্লাসিক যুগের চারুপ্রভা, আমি ক্লাসিকযুগের অজিতকুমার। দুটি কথা আজ বলব আমি,