পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু্যামলী 이》 মনে পড়ছে ঐ পদটা— ‘রজনী শাঙন ঘন, ঘন দেয়া-গরজন . স্বপন দেখি হেনকালে |’ সেদিন রাধিকার ছবির পিছনে কবির চোখের কাছে কোন একটি মেয়ে ছিল, ভালোবাসার-কুঁড়ি-ধরা তার মন । মুখচোরা সেই মেয়ে, চোখে কাজল পরা, ঘাটের থেকে নীলশাড়ি ‘নিঙাড়ি নিঙাড়ি’ চলা । আজ এই ঝোড়ো রাতে তাকে মনে আনতে চাই— তার সকালে, তার সাঝে, তার ভাষায়, তার ভাবনায়, তার চোখের চাহনিতে— তিন-শো বছর আগেকার কবির জানা সেই বাঙালির মেয়েকে । দেখতে পাই নে স্পষ্ট করে । আজ পড়েছে যাদের পিছনের ছায়ায় তারা শাড়ির আঁচল যেমন করে বাধে কাধের পরে, খোপা যেমন করে ঘুরিয়ে পাকায় পিছনে নেমে-পড়া, মুখের দিকে যেমন করে চায় স্পষ্টচোখে, তেমন ছবিটি ছিল না সেই তিন-শো বছর আগেকার কবির সামনে । তবু— ‘রজনী শাঙন ঘন. স্বপন দেখিচু হেনকালে |’