পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S२२ * ब्रदौटल-ब्रक्रमांदलौ সুয়োরানীর সাধ স্বম্বোরানীর বুঝি মরণকাল এল । তার প্রাণ হাপিয়ে উঠছে, তার কিছুই ভালো লাগছে না। বদি বড়ি নিয়ে এল। মধু দিয়ে মেড়ে বললে, “খাও।” সে ঠেলে ফেলে দিলে। রাজার কানে খবর গেল । রাজা তাড়াতাড়ি সভা ছেড়ে এল। পাশে বলে জিজ্ঞাসা করলে, “তোমার কী হয়েছে, কী চাই ।” সে গুমরে উঠে বললে, “তোমরা সবাই যাও ; একবার আমার স্যাঙাংনিকে ডেকে দাও।” স্যাঙাংনি এল । রানী তার হাত ধরে বললে, “সই, বলে । কথা আছে ।" স্যাঙাংনি বললে, “প্রকাশ করে বলে ।” স্বয়োরানী বললে, “আমার সাতমহলা বাড়ির এক ধারে তিনটে মহল ছিল দুয়োরানীর। তার পরে হল দুটো, তার পরে হল একটা । তার পরে রাজবাড়ি থেকে সে বের হয়ে গেল । তার পরে দুয়োরানীর কথা আমার মনেই রইল না। তার পরে একদিন দোলযাত্রা । নাটমন্দিরে যাচ্ছি ময়ূরপংখি চ'ড়ে । আগে লোক, পিছে লশকর। ডাইনে বাজে বাশি, বায়ে বাজে মৃদঙ্গ । এমনসময় পথের পাশে, নদীর ধারে, ঘাটের উপরটিতে দেখি একখানি কুঁড়েঘর, চাপাগাছের ছায়ায় ৷ বেড়া বেয়ে অপরাজিতার ফুল ফুটেছে, দুয়োরের সামনে চালের গুড়ো দিয়ে শঙ্খচক্রের আলপনা । আমার ছত্রধারিণীকে শুধোলেম, ‘আহা, ঘরখানি কার।’ সে বললে, দুয়োরানীর । তার পরে ঘরে ফিরে এসে সন্ধ্যার সময় বসে আছি, ঘরে প্রদীপ জালি নি, মুখে কথা নেই। রাজা এসে বললে, “তোমার কী হয়েছে, কী চাই ।” আমি বললেম, এ ঘরে আমি থাকব না।’ রাজা বললে, “আমি তোমার কোঠাবাড়ি বানিয়ে দেব গজদস্তের দেওয়াল দিয়ে । শম্বের গুড়োয় মেঝেটি হবে দুধের ফেনার মতো সাদা, মুক্তোর ঝিনুক দিয়ে তার কিনারে এঁকে দেব পদ্মের মালা ৷”