পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩২ রবীন্দ্র-রচনাবলী কর্তা বলেন, “ওরে অবোধ, আমার ধরাও নেই, ছাড়াও নেই, তোর ছাড়লেই আমার ছাড়া।” তারা বলে, “ভয় করে যে কর্তা ।” কর্তা বলেন, “সেইখানেই তো ভূত।” তোতাকাহিনী এক-বে ছিল পাখি। সে ছিল মূর্খ। সে গান গাহিত, শাস্ত্র পড়িত না। লাফাইত, উড়িত, জানিত না কায়দাকামুন কাকে বলে । o রাজা বলিলেন, "এমন পাখি তো কাজে লাগে না, অথচ বনের ফল খাইয়া রাজহাটে ফলের বাজারে লোকসান ঘটায় ।” মন্ত্রীকে ডাকিয়া বলিলেন, “পাখিটাকে শিক্ষা দাও।” २ রাজার ভাগিনাদের উপর ভার পড়িল পাখিটাকে শিক্ষা দিবার । পণ্ডিতেরা বসিয়া অনেক বিচার করিলেন। প্রশ্নটা এই, উক্ত জীবের অবিদ্যার কারণ কী। সিদ্ধাস্ত হইল, সামান্য খড়কুটা দিয়া পাখি যে বাসা বাধে সে বাসায় বিদ্যা বেশি ধরে না। তাই সকলের আগে দরকার, ভালো করিয়া খাচা বানাইয়া দেওয়া । রাজপণ্ডিতেরা দক্ষিণা পাইয়া খুশি হইয়া বাসায় ফিরিলেন। Nට স্তাকরা বসিল সোনার খাচা বানাইতে । খাচাট হইল এমন আশ্চর্ধ যে, দেখিবার জন্ত দেশবিদেশের লোক কুকিয়া পড়িল । কেহ বলে, “শিক্ষার একেবারে ছন্দমুদ।” কেহ বলে, “শিক্ষা যদি নাও হয়, খাচা তো হইল। পাধির কী কপাল।” স্তাকর থলি বোঝাই করিয়া বকশিশ পাইল। খুশি হইয়া সে তখনি পাড়ি দিল বাড়ির দিকে । পণ্ডিত বসলেন পাধিকে বিস্ত শিখাইতে। নন্ত লইয়া বলিলেন, "আর পুথির কর্ম নয় ।” 像 ভাগিনা তখন পুথিলিখকদের তলব করিলেন। তারা পুথির নকল করিয়া এবং