পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:వశి রবীন্দ্র-রচনাবলী দিতে হচ্ছে আয়ুক্ষয় ক’রে। দোলায়মান হৃদয়টা নিয়ে মরছে নরনারী ; চতুস্পদের কোনো বালাই নেই। " বুঝলুম, কিন্তু উপায় ? i ওঁরা বলছেন, প্রকৃতির মূল মংলবটা শিশুদের কাছ থেকে শিখে নিতে হবে। সেই দ্বীপের সব চেয়ে উচু পাহাড়ে শিলালিপিতে অধ্যাপক খুদে রেখেছেন– সবাই মিলে হামাগুড়ি দাও, ফিরে এসো চতুষ্পদী চালে, যদি দীর্ঘকাল ধরণীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাও । সাবাস । আরও কিছু বাকি আছে বোধ হয় ? আছে । ওঁরা বলেন, কথা কওয়াটা মানুষের বানানো । ওটা প্রকৃতিদত্ত নয় । ওতে প্রতিদিন শ্বাসের ক্ষয় হতে থাকে, সেই শ্বাসক্ষয়েই আয়ুক্ষয় । স্বাভাবিক প্রতিভায় এ কথাটা গোড়াতেই আবিষ্কার করেছে বানর। ত্রেতাযুগের হনুমান আজও আছে বেঁচে । আজ ওঁরা নিরালায় বসে সেই বিশুদ্ধ আদিম বুদ্ধির অনুসরণ করছেন। মাটির দিকে মুখ ক’রে সবাই একেবারে চুপ। সমস্ত দ্বীপটাতে কেবল নাকের থেকে ইচির শব্দ বেরোয়, মুখের থেকে কোনো শব্দই নেই। পরম্পর বোঝাপড়া চলে কী ক’রে । অত্যাশ্চর্ব ইশারার ভাষা উদ্ভাবিত — কখনো টেকি-কোটার ভঙ্গীতে, কখনো হাতপাখা-চালানোর চালে, কখনো ঝোড়ে স্বপুরি গাছের নকলে ভাইনে বায়ে উপরে