পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२●8 রবীন্দ্র-রচনাবলী পষ্ণু। পালাবে কোথায় । আমাদের ভক্তির দৌড়ের সঙ্গে পারবে কেন । গোবরা । ঐ বলেছে কয়েৎবেল গাছের ডগায়। উধো । পঞ্চু, উঠে পড়-না গাছে । পঞ্চু । আরে, তুই ওঠ-না । উধো । আরে, তুই ওঠ । পঞ্চু । অত উচ্চে উঠতে পারব না, বাবা, কৃপা ক’রে নেমে এসো। উধো। বাবা, তোমার ঐ প্রলেজ গলায় বেঁধে অস্তিমে যেন চক্ষু মুদ্রতে পারি এই আশীৰ্বাদ করে । [ প্রস্থান ওহে কমবুদ্ধি, হাসাতে পারলে ? না। যে মানুষ সবই বিনা বিচারে বিশ্বাস করতে পারে তাকে হাসানো সোজা নয়। ভয় হচ্ছে, পূপেদিদি পাছে গেছে বাবার সন্ধান করতে আমাকে পাঠায়। মুখ দেখে আমারও তাই বোধ হচ্ছে। গেছে বাবার পরে ওর টান পড়েছে। আচ্ছা, কাল পরীক্ষা ক’রে দেখব, বিশ্বাস না করিয়েও মজা লাগাতে পারা যায় কি না । কিছুক্ষণ বাদে পুপু এসে বললে, আচ্ছা, দাদামশায়, গেছে বাবার কাছে তুমি হলে কী চাইতে । আমি বললেম, পুপুদিদির জন্যে এমন একটা কলম চাইতেম বা নিয়ে লিখতে বসলে অঙ্ক কষতে একটা ভুলও হত না । পুপুদিদি হাততালি দিয়ে বলে উঠল, আঃ, সে কী মজাই হত ! অঙ্কে দিদি এবার একশোর মধ্যে সাড়ে তেরো মার্কা পেয়েছে। 8 স্বপ্ন দেখছি কি জেগে আছি বলতে পারি নে। জানি নে কত রাত। ঘর অন্ধকার, লণ্ঠনটা আছে বারান্দায়, দরজার বাইরে। একটা চামচিকে পোকার লোভে ঘুরপাক খেয়ে বেড়াচ্ছে, গয়ায়-পিত্তি-না-দেওয়া ভূতের মতো। সে এলে হাক দিলে, দাদা, ঘুমচ্ছ নাকি ।