পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী سbه به তুমি দেখি মাহবটা একেবারে অদ্ভুত । পুরো বহরের মিল দাবি করলে মেয়েটি বোধ হয় মাথায় হাত দিয়ে পড়বে। ওকে হার মানতেই হবে। আচ্ছা দাদা, তুমিই দাও দেখি ওর পরের লাইনটা যোগ ক’রে । আমি বললেম— স্বন্ধে তোমার বুঝি চাপিয়াছে বঙ্গ ভূত । একৃসেলেন্ট, কিন্তু আর দুটো লাইন না হলে শ্লোক তে ভর্তি হয় না। আমি বলছি, কনে তো কনে, কনের বাবার সাধ্যি হবে না ওর মিল বের করতে। দাদা, তোমার মাথায় কিছু আসছে ? ভাষায় হোক অভাষায় হোক । একেবারেই না । তা হলে শোনো— ছাত থেকে লাফ দাও, পাক দেখে বাপ দাও, যখন তখন করো डूड তদ্ভূত | ও আবার কী ! ওটা কোন দিশি বুলি । দেবভাষা সংস্কৃত, কিস্তৃত শব্দের এক পর্যায় । যদ্ভুত তদ্ভূত, মানেটা কী হল। ওর মানে, যা খুশি তাই। ওটা বঙ্গভাষায়, যাকে হাল আমলের পণ্ডিতেরা বলেছে ‘অবদান’ । লোকটার পরে আমার ভক্তি কূল ছাপিয়ে উঠল। মনে হল অসাধারণ প্রতিভা । ওর পিঠ থাবড়িয়ে বললুম, স্তম্ভিত করেছ আমাকে । সে বললে, স্তম্ভিত হলে চলবে কেন । চলতে হবে । লগ্ন বয়ে যাচ্ছে। ফস ক’রে ববকরণ পেরিয়ে যাবে কখন, এসে পড়বে তৈতিলকরণ, বৈষ্ণুম্ভযোগ, তার পরেই হর্ষণযোগ, বিষ্টিকরণ, শেষ রাত্তিরে অস্বকযোগ, ধনিষ্ঠানক্ষত্ৰ— গোস্বামীমতে ব্যতীপাতযোগ বালককরণ, পরিঘযোগে যখন গরকরণ এসে পড়বে তখন বিপদ হবে— ঘরকবৃনার পক্ষে গরকরণের মতো এত বড়ো বাধা আর নেই। সিদ্ধিযোগ ব্ৰহ্মযোগ ইন্দ্রযোগ শিবযোগ এই হস্তার মধ্যে একদিনও পাওয়া বাবে না, বরীয়ানযোগের অল্প একটু আশা আছে যখন পুনর্বস্ব নক্ষত্রের দৃষ্ট পড়বে। কাজ নেই, কাজ নেই, এথ খনি বেরিয়ে পড়া যাক। ভাক দাও পুত্ত লালকে, মোটরখানা আমুক। সে এতক্ষণে চরকা কাটতে বলেছে। চরকা কাটতে কাটতে তবে সে ঘুমতে পারে, মোটর চালিয়ে চালিয়ে তার এই দশা হয়েছে। গাড়িতে চড়ে বললুম।