পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"లe রবীন্দ্র-রচনাবলী দলাদলি বেধে গেছে। প্রাচীনরা নব্য সম্প্রদায়কে নাম দিয়েছে চাষী-কৈবর্ত-খেগো, এই নিয়ে মহা হাসাহালি পড়েছে। পুপু বললে, আচ্ছা দাদামশায়, তুমি কখনো বাঘের উপর কবিতা লিখেছ? হার মানতে মন গেল না । বললুম, ই লিখেছি। শোনাও-না । গম্ভীর স্বরে আবৃত্তি করে গেলুম— তোমার স্বষ্টিতে কতু শক্তিরে কর না অপমান, হে বিধাতা— হিংসারেও করেছ প্রবল হন্তে দান আশ্চর্য মহিমা এ কী । প্রখরনখর বিভীষিকা, সৌন্দর্য দিয়েছ তারে, দেহধারী যেন বজ্রশিখা, যেন ধূর্জটির ক্রোধ। তোমার স্বষ্টির ভাঙে বাধ ঝঙ্কা উচ্চুম্বল, করে তোমার দয়ার প্রতিবাদ বনের যে দস্থ্য সিংহ, ফেনজিহব ক্ষুব্ধ সমুদ্রের ষে উদ্ধত উর্ধ্ব ফণা, ভূমিগর্ভে দানবযুদ্ধের ডমরুনিঃস্বনী স্পর্ধা, গিরিবক্ষভেদী বহ্নিশিখা যে আঁকে দিগস্তপটে আপন জলস্ত জয়টিক, প্রলয়নর্তিনী বন্যা বিনাশের মদিরবিহবল নিলজি নিষ্ঠুর— এই যত বিশ্ববিপ্লবীর দল প্রচণ্ড সুন্দর। জীবলোকে যে দুর্দাস্ত আনে ত্রাস হীনতালাঞ্ছনে সে তো পায় না তোমার পরিহাস । চুপ করে রইল পুপু। আমি বললুম, কী দিদি, ভালো লাগল না বুঝি। ও কুষ্ঠিত হয়ে বললে, না না, ভালো লাগবে না কেন। কিন্তু, এর মধ্যে বাঘট। কোথায় । আমি বললুম, যেমন লে থাকে ঝোপের মধ্যে, দেখা যায় না তৰু আছে ভয়ংকর গোপনে । পুপু বললে, অনেক দিন আগে মিলেরিন-গোপ-খোজা বাঘের কথা আমাকে বলেছিলে । তার খবরটা কোথা থেকে পেলে সে । আমার কথা ও করে চুরি, নিজের মুখে সেটা দেয় বসিয়ে । किसु