পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয়েছে । মনে রেপো স্বরের হার, বেস্বরের জিত, এই নিয়েই পালা রচনা হয়েছে পুরাণে দক্ষযজ্ঞের । একদা যজ্ঞসভায় জমা হয়েছিলেন দেবতারা— দুষ্ট কানে কুণ্ডল, দুষ্ট বাহুতে অঙ্গদ, গলায় মণিমালা । কী বাহার ! ঋষিমুনিদের দেহ থেকে আলো পড়ছিল ঠিকুরিয়ে । কণ্ঠ থেকে উঠছিল অনিন্দ্যমুন্দর স্বরে সুমধুর সামগান, ত্রিভুবনের শরীর রোমাঞ্চিত । হঠাৎ দুড় দাড় ক’রে এসে পড়ল বিশ্ৰবিরূপের বেসুরি দল, শুচি সুন্দরের গোকুমাৰ্য মুহূর্তে লণ্ডভণ্ড ৷ কুশ্রীর কাছে সুশ্রীর হার, বেহরের কাছে স্তরের— পুরাণে এ কথা কীর্তিত হয়েছে কী আনন্দে, কী অট্টহাস্তে, অন্নদামঙ্গলের পাত ওলটালেই তা টের পাবে । এষ্ট তো দেপছ বেসুরের শাস্ত্রসম্মত ট্র্যাডিশন । ঐ-যে তুন্দিলততু গজানন সর্বাগ্রে পেয়ে থাকেন পুজে, এটাই তে চোথ-ভোলানে দুর্বল ললিতকলার বিরুদ্ধে স্থূলতম প্রোটেস্ট্র। বর্তমান যুগে ঐ গণেশের শুড়ই তে চিমনি-মূর্তি ধরে পাশ্চাত্য পণ্যযজ্ঞশালায় বুছিতধ্বনি করছে । গণনায়কের এই কুংসিত বেসুরের জোরেই কি ওর সিদ্ধিলা ভ করছে না । চিস্ত করে দেখে । দেখব । যখন করবে তখন এ কথাটা ও ভেবে দেখে, বেহরের অজেয় মহাত্ম্য কঠিন ডাঙাতেই । সিংহ বল, ব্যাঘ্র বল', বলদ বল', যাদের সঙ্গে সগর্বে বীরপুরুষদের তুলনা BBS DD BB BBB BBBB BBBBB BBB BBS BB BB S B BBB BBB সন্দেহ আছে কি ! তিলমাত্র না । এমন-কি, ডাঙার অধম পশু যে গদ ভ, যত দুর্বল সে হোক-না, বীণাপাণির আসরে সে সাক্রেদি করতে যায় নি, এ কথা তার শত্রু মিত্র এক বাক্যে স্বীকার করবে । তা করবে । ঘোড়া তো পোষমান জীব— লাথি মারবার যোগ্য খুর থাকা সত্ত্বেও নির্বিবাদে চাবুক পেয়ে মরে— তার উচিত ছিল, আস্তাবলে খাড়া দাড়িয়ে ঝিঝি টখাম্বাজ আলাপ করা। তার চিহি হিহি শব্দে সে রাশি রাশি সফেন চন্দ্রবিন্দুবর্ষণ করে বটে, তৰু বেহরো অনুনাসিকে সে ডাঙার সম্মান রক্ষা করতে ভোলে না। আর গঙ্গরাজ, তার কথা বলাই বাহুল্য। পশুপতির কাছে দীক্ষা প্রাপ্ত এই-সমস্ত স্থলচর জীবের মধ্যে কি একটাও কোকিলকণ্ঠ বের করতে পার। ঐ-যে তোমার বুলডগ ফ্রেডি চীংকারে ঘুমছাড়া করে পাড়া, ওর গলায় দয়া ক'রে বা মজা ক’রে বিধাতা যদি দেন তামাদোয়েলের শিষ, ও তা হলে নিজের মধুর কণ্ঠের অসহ ধিক্কারে তোমার চলতি মোটরের