পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રક્તર রবীন্দ্র-রচনাবলী আছে— একটা দন্ত্য, একটা মূর্ধন্ত। আমাতে লেগেছে মূর্ধন্ত হাসি, ইংরেজিতে তাকে বলে উইট । দাদামশায়, নিজের গুণগান তোমার মুখে কখনো বাধে না । সেইটেই আমার প্রধান গুণ । আপনাকে যারা জানে আমি সেই অসামায্যের দলে । মুখ খুলে গেছে, কিন্তু আর নয়, এবার থামো । মাস্টারমশায়ের কথা হচ্ছিল, এখন উঠে পড়ল তোমার নিজের কথা । তাতে দোষ হয়েছে কী । বিষয়টা তো উপাদেয়, যাকে বলে ইণ্ট রেস্টিঙ । বিষয়টা সর্বদাই রয়েছে সামনে । তাকে তো স্মরণ করবার দরকার হয় না । তাকে যে ভোলাই শক্ত । আচ্ছ, তা হলে মাস্টারের একটা বিশেষ পরিচয় দিই তোমাকে । এট। টুকে রাখবার যোগ্য । একদিন সন্ধেবেলায় মাস্টার জনকয়েক লোককে নেমস্তন্ন করেছিল । খবরটা তার মনে আছে কি না জানবার জন্যে সকাল-সকাল গেলুম তার বাড়িতে | BBB BBBBB BB BB B BBBBBS BBBBS BB BBBBBS BSBB BBS জগদ্ধাত্র পুজোর বাজারে গলদা চিংড়ির দাম চড়ে গেছে, তাই এনেছি ডিম ওয়াল কাকড়া । মাস্টার ঈষং চিন্তিত হয়ে বলে, কঁকড়া কী হবে । ও বললে, লাউ দিয়ে ঝোল, সে তোফ হবে । আমি বললুম, মাস্টার, গলদ চিংড়ির উপর তোমার লোভ ছিল ? মাস্টার বললে, ছিল বই-কি । তা হলে তো লেভি সম্বরণ করতে হবে । তা কেন । লেভিট প্রস্তুত হয়েই আছে, তাকে শান্ট, ক'রে চালিয়ে দেব কাকড়ার লাইনে । দেখছি, তোমাকে বিস্তর শান্ট করতে হয় । মাস্টার বললে, কাকড়ার ঝোল তো খেয়েছি অনেকবার, সম্পূর্ণ মন দিই নি । এবার যখন দেখলুম কানাইয়ের জিভে জল এসেছে, তখন তার সিক্ত রসনার নির্দেশে খাবার সময় মনটা ঝুকে পূড়বে কাকড়ার দিকে, রসট পাব বেশি করে। কাকড়ার ঝোলটাকে ও যেন লাল পেনলিলে আ গুরলাইন ক’রে দিলে ; ওটাকে ভালো করে মুখস্থ করবার পক্ষে স্থবিধে হল আমার ।