পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী "ל צס\ না, তার দরকার হয় নি। সেটা বেরোল আমার স্ত্রীর ময়লা কাপড়ের ঝুড়ির ভিতর থেকে । কাউকেই বিশ্বাস করবার জো নেই । কী বল তুমি, ওটা ঠিক জায়গাতেই তো ছিল। আপনি সাদা লোক, আসল কথাটাই বুঝতে পারছেন না। আপনি জানেন তো আমার শালা কোচলুকে । কী রকম লে গায়ে ফু দিয়ে বেড়ায়। পয়সা জোটে কোথা থেকে। কাজটি করছেন তিনি, আর গিরি সেটাকে বেমালুম চাপা দিয়েছেন। তুমি জানলে কী ক’রে । হ্যা হ্যা, এ কি জানতে বাকি থাকে । কখনো তাকে নিতে দেখেছ ? যে এমন কাজ করে সে কি দেখিয়ে দেখিয়ে করে । এ দিকে দেখুন-না, পুলিশ আছে চোখ বুজে, তারা যে বখরা নিয়ে থাকে। এই-সব উৎপাত আরম্ভ হয়েছে যখন থেকে দেখা দিয়েছেন ঐ আপনাদের গান্ধিমহারাজ । এর মধ্যে তিনি আবার এলেন কোথেকে । ঐ যে তার অহিংস্র নীতি। ধড়াধড় ন পিটলে চোরের চুরি রোগ কখনে সারে ? তিনি নিজে থাকেন কপনি প'রে । এক পয়সা সম্বল নেই। এ-সব লম্বাচ ওড়া বুলি তাকেই সাজে। আমরা গেরস্থ মাহষ, শুনে চক্ষু স্থির হয়ে যায় । এ দিকে আরএক নতুন ফন্দি বেরিয়েছে জানেন তো ? ঐ যে যাকে আপনারা বলেন চাদ । তার মুনফ কম নয় । কিন্তু সেটা তলিয়ে যায় কোথায় তার হিসেব রাখে কে । মশায়, সেদিন আমারই ঘরে এসে উপস্থিত অনাথ-হাসপাতালের চাদ চাইতে । লজ্জা হয়, কী আর বলব। খাত হাতে যিনি এসেছিলেন আপনার সবাই তাকে জানেন । ডাক্তার — আর নাম করে কাজ নেই, কে আবার তার কানে ওঠাবে । তিনি যে মাঝে মাঝে আসেন আমাদের ঘরে নাড়ী টিপতে । সিকি পয়সা দিতে হয় না বটে, তেমনি সিকি পয়সার ফলও পাই নে । তবু হাজার হোক, এম-বি তো বটে। এমনি হাল আমলের র্তার চিকিৎসা ষে রোগীরা তার কাছে ঘেঁষে না । কাজেই টাকার টানাটানি হয় दश्-किं । ছি ছি, কী বলছ তুমি । তা মশায়, আমি মুখফোড় মানুষ । সত্যিকথা আমার বাধে না । ওঁর মুখের সামনেই শুনিয়ে দিতে পারতুম । কিন্তু কী বলব, আমার ছেলেটাকে আদায়ের কাজে রেখে আমার মুখ বন্ধ করেছেন । তার কাছ থেকেও মাঝে মাঝে ইশারা পাই । দক্ষিণহস্ত বেশ চলছে ভালো। বুঝছেন তো ? আমাদের দেশে আজকালকার