পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

888 রবীন্দ্র-রচনাবলী রূপের বৈচিত্র্য ঘটে যতিবিভাগের বৈচিত্র্যে, এবং নানা ওজনের পংক্তিবিস্তালে। এইরকম বিভিন্ন বিভাগের ষতি ও পংক্তি নিয়ে বাংলায় ছন্দ কেবলই বেড়ে চলেছে। এক সময়ে শ্রেণীবদ্ধ মাত্রা গুণে ছন্দ নির্ণয় হত । বালকবয়সে একদিন সেই চোদ্দ অক্ষর মিলিয়ে ছেলেমান্থষি পয়ার রচনা ক'রে নিজের কৃতিত্বে বিস্মিত হয়েছিলুম। তার পরে দেখা গেল, কেবল অক্ষর গণনা ক’রে যে ছন্দ তৈরি হয় তার শিল্পকলা আদিম জাতের । পদের নানা ভাগ আর মাত্রার নানা সংখ্যা দিয়ে ছন্দের বিচিত্র অলংকৃতি । অনেক সময়ে ছন্দের নৈপুণ্য কাব্যের মর্যাদা ছাড়িয়ে श्वiश्च । O চলতি ভাষার কাব্য, যাকে বলে ছড়া, তাতে বাংলার হলস্তসংঘাতের স্বাভাবিক ধ্বনিকে স্বীকার করেছে। সেটা পয়ার হলেও অক্ষর-গোনা পয়ার হবে না, সে হবে মাত্র-গোনা পয়ার। কিন্তু কথাটা ঠিক হল না, বস্তুত সাধু ভাষার পয়ারও মাত্রাগোনা। সাহিত্যিক কবুলতি পত্রে সাধু ভাষায় অক্ষর এবং মাত্রা এক পরিমাণের বলে গণ্য হয়েছে। এইমাত্র রফা হয়েছে যে সাধু ভাষার পদ্য-উচ্চারণকালে হলস্তের টানে শব্দগুলি গায়ে গায়ে লেগে যাবে না ; অর্থাৎ বাংলার স্বাভাবিক ধ্বনির নিয়ম এড়িয়ে চলতে হবে — সতত হে নদ তুমি পড়ে মোর মনে, জুড়াই এ কান আমি ভ্রাপ্তির ছলনে । চলতি বাংলায় ‘নদ’ আর 'তুমি’, ‘মোর আর ‘মনে হলস্তের বাধনে বাধা । এই পয়ারে ঐ শব্দগুলিকে হসন্ত বলে যে মানা হয় নি তা নয়, কিন্তু ওর বাধন আলগা করে দেওয়া হয়েছে। ‘কান’ আর ‘আমি’, ‘ভ্ৰাস্তির' আর ‘ছলনে' হসন্তের রীতিতে হওয়া উচিত ছিল যুক্ত শব্দ ; কিন্তু সাধু ছন্দের নিয়মে ওদের জোড় বাধতে বাধা দেওয়া হয়েছে । একটা খাটি ছড়ার নমুনা দেখা যাক— 4 °ांब्र नंत्र ७ नॉब्र नंत्रां यषिाथांtन छब्र, তারই মধ্যে বসে আছেন শিবু সদাগর। এটা পয়ার কিন্তু চোদ্ধ অক্ষরের সীমানা পেরিয়ে গেছে। তৰু উচ্চারণ মিলিয়ে বানান করলে চোদ্দ অক্ষরের বেশি হবে না— এপার্গঙ্গা ওপার্গঙ্গা মধ্যিখানে চয়, ভারি মধ্যে বসে জাছেঙ্গিৰু সদাগর। ছড়ায় প্রায় দেখা যায় মাত্রার ঘনতা কোথাও কম, কোথাও বেশি। জাবৃত্তিকারের