পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्ररौञ्ज-ब्रळ्नावलौ سbه 8 মুখে মুখে প্রতিদিনের ব্যবহারের ভাষায় কলাকৌশলের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু মাহুষ জলবাধা জীব। একলার ব্যবহারে সে আটপৌরে, দলের ব্যবহারে স্থসজ্জিত । সকলের সঙ্গে আচরণে মানুষের যে সৌজন্ত সেই তার ব্যবহারের শিল্পকার্য। তাতে যত্বপূর্বক বাছাই সাজাই আছে। সর্বজনীন ব্যবহারে ব্যক্তিগত খেয়ালের যথেচ্ছাচার নিন্দনীয়। এ ক্ষেত্রে মানুষ নিজেকে ও অন্তকে একটা চিরন্তন আদশের দ্বারা সন্মান দেয়। সাহিত্যকে কদাচিৎ শ্ৰীশ্ৰষ্ট সৌজন্তভ্রষ্ট করায় প্রকাশ পায় সমাজের বিকৃতি, প্রকাশ পায় কোনো সাময়িক বা মারাত্মক ব্যাধির লক্ষণ । ভাষা অবতীর্ণ হয়েছে মানুষকে মাহষের সঙ্গে মেলাবার উদ্দেণ্ডে । সাধারণত সে মিলন নিকটের এবং প্রত্যহের । সাহিত্য এসেছে মামুষের মনকে সকল কালের সকল দেশের মনের সঙ্গে মুখোমুখি করবার কাজে । প্রাকৃত জগং সকল কালের সকল স্থানের সকল তথ্য নিয়ে, সাহিত্যজগং সকল কালের সকল দেশের সকল মানুষের কল্পনাপ্রবণ মন নিয়ে । এই জগৎ-স্বষ্টিতে যে-সকল বড়ো বড়ো রূপকার আপন বিশ্বজনীন প্রতিভা খাটিয়েছেন সেই-সব স্বষ্টিকর্তাদেরকে মানুষ চিরস্মরণীয় বলে স্বীকার করেছে। বলেছে তারা অমর। পঞ্জিকার গণনা অমুলারে অমর নয় । মাহেকদার্যের ভগ্নাবশেষ যখন দেখি তখন বোঝা যায়, তারই মতো এমন অনেক সভ্যতা মাটির তলায় লুপ্ত হয়ে গেছে। সেদিনকার বিলুপ্ত সভ্যতাকে যারা একদিন বাণীরূপ দিয়েছিলেন তাদের সেই বাণীও নেই, সেই স্কৃতিও নেই । কিন্তু যখন তারা বর্তমান ছিলেন তখন তাদের কীর্তির যে মূল্য ছিল সে কেবল উপস্থিত কালের নয়, সে নিত্যকালের। সকল কালের সকল মানুষের চিত্তমিলনবেদিকায় উংসর্গ করা তাদের দান সেদিন অমরতার স্বাক্ষর পেয়েছিল, আমরা সে সংবাদ জানি আর নাই জানি । ১২ সাধু ভাষার সঙ্গে চলতি ভাষার প্রধান প্রভেদ ক্রিয়াপদের চেহারায়। যেমন সাধুভাযার ‘করিতেছি হয়েছে চলতি ভাষায় 'করছি । এরও মূল কথাটা হচ্ছে আমাদের ভাষাটা হসন্তবর্ণের শক্ত মুঠোয় জাটবাঁধা। ‘করিতেছি এলানো শব্দ, পিগু পাকিয়ে হয়েছে “করছি । এই ভাষার একটা অভোগ দেখা যায়, তিন বা ততোধিক অক্ষর -ব্যাপী শব্দের দ্বিতীয় বর্ণে হসন্ত লাগিয়ে শেষ অক্ষরে একটা স্বরবর্ণ জুড়ে শব্দটাকে তাল পাকিয়ে দেওয়া। ৰখা ক্রিাপদে ; ছিটকে পড়া, কাংয়ে ওঠা, বাৎলে দেওয়া, সাংয়ে যাওয়া,