পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলাভাষা-পরিচয় 密 তোমাদের খাওয়াতে হবে' বললে নিশ্চিন্ত মনে নিমন্ত্রণে যাওয়া যায় । সম্বন্ধকারকের চিহ্নে কর্মকারকের কাজ চালিয়ে নেওয়া ভাষার অমার্জনীয় টিলেমি । 36. বাংলায় নির্দেশকশৰৰূপে প্রধানত ব্যবহৃত হয় : টি টা খানি খান । ইংরেজিতে এর প্রতিরূপ the । ইংরেজিতে the বলে শব্দের পূর্বে, বাংলায় নির্দেশক শব্দ বলে শব্দের পরে, বস্তবাচক বা জীববাচক শব্দের অনুষঙ্গে । বা বস্ত বা জীব -বাচক নয় স্থানবিশেষে তার সঙ্গেও যোগ হয়, যেমন : বেশি লজ্জাট ভালো নয়, ওর হাসিটি বড়ো মিষ্টি । এখানে লজ ও হালিকে বস্তুর মতোই কল্পনা করে নেওয়া হয়েছে । এক দুই তিন শত্ৰ সংখ্যাবাচক । ওদের সঙ্গে প্রায় নিত্যযোগ টি ও টা’র । ইংরেজিতে এ দস্তুর নেই। বাংলায় সংখ্যাবাচক শব্দ যখন সমাসে বাধা পড়ে তখন তাদের টি টা পড়ে খ’লে, যেমন : দশসের আটহাত পাচমিশলি । তা ছাড়া 'জন' শব্দের সংযোগে টি টা চলে না । ‘একটি জন’ বলি নে, অথচ "একটি মাহুষ’ বলেই থাকি । আরও কয়েকটি নির্দেশক শৰ আছে, যেমন : টু টুক্ টুকু গোছা গাছি । তেল জল ধুলো কাদা প্রভৃতি অনির্দিষ্ট-আকার-বাচক শৰে সংখ্যাবাচক শম্বের ব্যবহার চলে না। একটা তেল একটি ধুলো বলি নে, কিন্তু একটু তেল একটু ধুলো বলেই BB S SDDBBS DDSDBBB BBBS BB BB BB SBBBS BBB BB BBS চলে না । কেননা টা শব্দে ব্যাপকতা বোঝায়, টি শব্দে বোঝায় খণ্ডত । টু টুক্ টুকু স্বল্পতাস্বচক । সজীব পদার্থে এর ব্যবহার নেই। ছোটো গাধার বাচ্ছাকেও কেউ গাধাটুকু বলবে না, পরিহাস ক’রে ‘মাল্লুবটুকু বলা চলে। সরু লম্ব জিনিসের সঙ্গে ‘গাছি’ ‘গাছা’র ব্যবহার : দড়িগাছা বেতগাছা হারগাছা । দুই-একটা ব্যতিক্রম থাকতে পারে, যেমন "চুড়িগাছি । লম্বায়-ছোটো জিনিলে চলে না ; গোফগাছি’ কিছুতেই নয়। টুকু চলে ছোটো জিনিলে, কিন্তু গড়নওয়ালা জিনিলে নয়। চুনটুকু হয়, ‘পদ্মটুকু হয় না ; ‘জাংটিটুকু হয় না, পশমটুকু হয়। সন্ন্যাসীঠাকুরের ‘রাগটুকু প্রভৃতি অবন্তবাচক শৰেও চলে ; একটুকু হয়, কিন্তু ‘ছটুকু ‘তিনটুকু হয় না। ঐটুক্‌’ শবের সঙ্গে খানি’ জোড়া যায়, ’খানা যায় না ; একটুকখানি, কিন্তু "একটুকখানা নয়। জীববাচক শৰে খাটে না ; একটুক জীব নেই কোথাও । আরও কয়েকটি নির্দেশক পদ আছে বা শব্দের পূর্বে বলে। তারা সর্বনাম জাতের, ८षवन : cगझे ७हे भै । T