পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলাভাষা-পরিচয় 88S আছে 'ঠেঞে’ ( ঠাই হতে ), যথা : তোমার ঠেঞে কিছু আদায় করতে হবে। একদা পালি ব্যাকরণে পেয়েছিলুম-অজতগগে’ শব্দ। এর সংস্কৃত মূল 'অন্ততঃ অগ্রে’ , ‘আজ থেকে’ শব্দের সঙ্গে এর ধ্বনি ও অর্থের মিল আছে । জানি নে পণ্ডিতদের কাছে এ ইঙ্গিত গ্রাহ হবে কি না । এখানে একটা কথা মনে রাখতে হবে । ‘পশুর থেকে মাছষের উৎপত্তি’ এ কথা বলা চলে । কিন্তু ‘মানুষ থেকে গন্ধ বেরচ্ছে বলি নে, বলি "মাহুষের গা থেকে" কিংবা 'কাপড় থেকে । ‘বিপিন থেকে টাকা পেয়েছি” বলা চলে না, বলতে হয় "বিপিনের কাছ থেকে টাকা পেয়েছি । এর কারণ, অচেতন পদার্থের নামের সঙ্গেই ‘থেকে’ শব্দের সাক্ষাং লম্বন্ধ। তাই ‘মেঘ থেকে বৃষ্টি নামে, “পাখি থেকে’ গান ওঠে না, "পাখির কণ্ঠ থেকে’ গান ওঠে । কেবল থেকে' নয়, হতে শঙ্ক-প্রয়োগেও ঐ একই কথা । 'অযোধ্যা হতে রাম নির্বালিত হয়েছিলেন, কিন্তু তিনি দুঃখ পেয়েছিলেন ‘রাবণের কাছ হতে । তুলনামূলক অর্থেও ব্যবহৃত হয় : হতে থেকে চেয়ে চাইতে । অন্ত প্রসঙ্গে সম্বন্ধপদের আলোচনা হয়ে গেছে । এক কালে বহুবচনে সম্বন্ধপদের "দিগের’ শব্দের পূর্বেও সম্বন্ধের আর-একটা বিভক্তি থাকত, যেমন ‘আমারদিগের’। ংলা সম্বন্ধপদের একটা প্রত্যয় আছে 'কার' । এর ব্যবহার সার্বত্রিক নয় । সময়বাচক ক্রিয়াবিশেষণে "এখন’ ‘তখন’ ‘যখন ‘কখন’এর সঙ্গে 'কার' জোড়া হয় । বিশেষ BBB SBBBBS S BBBSBBBBSL BBS SDDS BBSBBS BB BBBBBB বিভক্তির সঙ্গে যোগ ক’রে ওর ব্যবহার : আজকেকার কালকেকার । ‘পশুকার", অমুক হস্তাকার’ বা ‘বছরকার’ হয়, কিন্তু অমুক ‘মাসকার' কিংবা অমুক ঘণ্টাকার হয় না। সকলকার’ হয়, সমস্তকার’ হয় না। ‘সত্যকার' হয়, মিথ্যাকার হয় না। ভিতরকার বাহিরকার উপরকার নিচেকার এদিককার ওদিককার এধারকার ওধারকার— চলে। ব্যক্তি বা বস্তুবাচক শব্দ সম্পর্কে এর ব্যবহার নেই। 'জন' শব্দ ষোগে ংখ্যাবাচক শব্দে 'কার' প্রয়োগ হয় : একজনকার দুজনকার । কিন্তু 'জন' ছাড়া মহন্তবাচক আর-কোনো শব্দের সঙ্গে ওর যোগ নেই। ইংরেজকার’ বলা চলে না । صواد হওয়া থাকা আর করা, এই তিন অবস্থাকে প্রকাশ করে ক্রিয়াপদে । আমি ধনী, তুমি পণ্ডিত-এ কথা ইংরেজিতে বলতে গেলে এর সঙ্গে হওয়া ক্রিয়াপদ যোগ