8૧ના রবীন্দ্র-রচনাবলী জাপিলে ৰাইবার কালো আচকান পরে না। এখানকার জনতার বেশভূষায় ধখন নানা রঙের সমাবেশ দেখি তখন আমার সেই কথা মনে পড়ে । কাজকর্মের ব্যস্ততাকে গায়ে পড়িয়া ইহীন করিয়া তুলিবার যে কোনো একান্ত প্রয়োজন আছে আমার তো তাহা মনে হয় না । ইহাদের পাগড়িতে, পাড়ে, মেয়েদের শাড়িতে, ষে বর্ণচ্ছটা দেখিতে পাই তাহাতে একটা জীবনের আনন্দ প্রকাশ পায় এবং জীবনের আনন্দকে জাগ্রত করে। বাংলাদেশ ছাড়াইয়া তাহার পরে অনেক দূর হইতে আমি এইটেই দেখিতে দেখিতে আসিয়াছি । চাষা চাষ করিতেছে কিন্তু তাহার মাথায় পাগড়ি এবং গায়ে একটা মেরুজাই পরা। মেয়েদের তো কথাই নাই। আমাদের সঙ্গে এখানকার বাহিরের এই প্রভেদটি আমার কাছে সামান্ত বলিয়া ঠেকিল না। কারণ, এই প্রভেদটুকু অবলম্বন করিয়া ইহাদের প্রতি আমার মনে একটি শ্রদ্ধার সঞ্চার হইল । ইহারা নিজেকে অবজ্ঞা করে না ; পরিচ্ছন্নতা দ্বারা ইহারা নিজেকে বিশিষ্টতা দান করিয়াছে। এটুকু মানুষের পরস্পরের প্রতি পরম্পরের কর্তব্য ; এইটুকু আবরণ, এইটুকু সজ প্রত্যেকের না থাকিলে মামুষের রিক্ততা অত্যন্ত কুজী হইয়া দেখা দেয়। আপনার সমাজকে কুদৃগু দীনতা হইতে প্রত্যেকেই যদি রক্ষার চেষ্টা না করে তবে কত বড়ো একটা শৈথিল্য সমস্ত দেশকে বিশ্বের চক্ষে অপমানিত করিয়া রাখে, তাহা অভ্যাসের অসাড়ত-বশতই আমরা বুঝিতে পারি না । আর-একটা জিনিস বোম্বাই শহরে অত্যন্ত বড়ো করিয়া চোখে পড়িল । সে এখানকার দেশী লোকের ধনশালিতা। কত পার্সি মুসলমান ও গুজরাটি বণিকদের নাম এখানকার বড়ো বড়ো বাড়ির গায়ে খোদা দেখিলাম। এত নাম কলিকাতার কোথাও দেখা যায় না । সেখানকার ধন চাকরিতে ও জমিদারিতে ; এইজস্ত তাহা বড়ো স্নান। জমিদারির সম্পদ বদ্ধ জলের মতো ; তাহা কেবলই ব্যবহারে ক্ষীণ ও বিলালে দূষিত হইতে থাকে। তাহাতে মানুষের শক্তির প্রকাশ দেখি না ; তাহাতে ধনাগমের নব নব তরঙ্গলীলা নাই। এইজন্ত আমাদের দেশে যেটুকু ধনসঞ্চয় আছে তাহার মধ্যে অত্যন্ত একটা ভীরুতা দেখি। মাড়োয়ারি পালি গুজরাটি পাঞ্জাবিদের মধ্যে দানে মুক্তহস্ততা দেখিতে পাই, কিন্তু বাংলাদেশ সকলের চেয়ে জয় দান করে। আমাদের দেশের চাদার খাতা আমাদের দেশের গোরুর মতো— তাহার চরিবার স্থান নাই বলিলেই হয়। ধন জিনিসটাকে আমাদের দেশ সচেতনভাবে অম্বভব করিতেই পারিল না, এইজস্ত আমাদের দেশের কৃপণতাও কুই, বিলাসও বীভৎস। এখানকার ধনীদের জীবনযাত্রা সরল অথচ ধনের মূর্তি উজার, ইহা দেখিা चांनञ्चद्दबांध ह्छ । *
