পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

τlζψή σίφ n 8y》 কারখানাঘরের দীপচক্ষু নিমেষ ফেলিতে জানে না । ইহারা সমাপ্তিকে স্বীকার করিবে না ; বিশ্রামের সঙ্গেই ইহাদের হাতাহাতি লড়াই । জার, ভাঙায় যাহারা বাসা বাধিস্থাছে তাহারা কেবলই বলে, “আর নহে, আর দরকার নাই।’ তাহারা যে কেবল ক্ষুধার খান্তটাকে সংকীর্ণ করিতে চাহে তাহা নহে, তাহারা স্থাটাকে স্বৰ মারির নিকাশ করির দিতে চায়। তাহারা যেটুকু পাইয়াছে তাহাকেই কোনোমতে স্থায়ী করিবার উদ্দেশে কেবলই চারি দিকে স্বনিশ্চিতের সনাতন বেড়া বাধিয়া তুলিতেছে। তাহারা মাথার দিব্য দিয়া বলিতেছে, ‘জার বাই কয়, কোনোমতে সমুদ্র পার হইতে চেষ্টা করিয়ো না। কেননা সমুভ্রের হাওয়া যদি লাগে, অনিশ্চিভের স্বাদ যদি পাও, তবে মানুষের মনের মধ্যে অসন্তোষের যে একটা নেশা আছে তাহাকে আর কে ঠেকাইয়া রাখিতে পরিবে।' সেই অপরিচিত নূতনের রাগিণী লইয়া কালো সমূত্রের বাশির ডাক কোনো একটা উতলা হাওয়ায় বাহাতে ঘরের মধ্যে আসিয়া পৌছিতে না পারে, সেইজন্ত কৃত্রিম প্রাচীরগুলাকে যত সমুচ্চ করা সম্ভব সেই চেষ্টাই কেবল চলিতেছে। কিন্তু, এই সমুত্র ও ডাঙার স্বাতন্ত্র্য সম্পূর্ণ স্বীকার করিয়া, তাহার বিরোধ ঘুচাইবার দিন আলিয়াছে বলিয়া মনে করি । এই দুয়ে মিলিয়াই মানুষের পৃথিবী। এই দুয়ের মধ্যে বিচ্ছেদকে জাগাইয়া রাখিলেই, মানুষের স্বত-কিছু বিপদ। তৰে এতদিন এই বিচ্ছেদ্ধ চলিয়া আলিতেছে কেন । সে কেবল ইহারা হরগৌরীর মতো তপস্তার দ্বারা পরম্পরকে পাইবে বলিয়াই। ঐ-ষে এক দিকে স্থাণু দিগম্বরবেশে সমাধিস্থ হইয়া বলিয়া আছেন, আর-এক দিকে গৌরী নব নব বসন্তপুষ্পে আপনাকে সাজাইয়া তুলিতেছেন— স্বর্গের দেবতারা ইহাঙ্গেরই শুভযোগের অপেক্ষা করিয়া আছেন, নছিলে কোনো মঙ্গলপরিণাম জন্মলাভ করিবে না । আমরা ভাঙার লোকের ভগবানের সমাপ্তির দিককেই সত্য বলিয়া আশ্রয় করিয়াছি তাহাতে ক্ষতি হইত না ; কিন্তু আমরা তাহার ব্যাপ্তির দিকটাকে একেবারেই মিথ্যা বলিয়া, মায়া বলিয়া উড়াইয়া দিতে চাহিয়াছি। সত্যকে এক অংশে মিখ্যা বলিলেই তাহাকে অপরাংশেও মিথ্যা করিয়া তোলা হয়। আমরা স্থিতিকে জানম্বকে মানিলাম, কিন্তু শক্তিকে দুঃখকে মানিলাম না। তাই আমরা রানীকে অপমান করাতে রাজার স্বৰ করিাও রক্ষা পাইলাম না। সত্য আমাদিগকে শত শত বৎসর ধরিা নানা আঘাতেই মারিতেছেন। 黨 গাত্রের লোকের ভগবানের ব্যাপ্তির দিকটাকেই একেবারে একান্ত সত্য করিয়া ধরিয়া বলিয়া আছে। তাছার সমাপ্তিকে কোনোমতেই মানিবে না, এই তাছাদের