পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8%rbe রবীন্দ্র-রচনাবলী কারবার আপনিই ঘটিয়া উঠে । তিনি কছিলেন, “আমি মাত্রাজের দিকে দক্ষিণ ভারতে অনেক দেশীয় যৌথ কারবারের উৎপত্তি ও বিলুপ্তি দেখিয়াছি । দেখিতে পাই, অনুষ্ঠানটার প্রতি ষে লয়ালটি অর্থাৎ যে নিষ্ঠ ও শ্রদ্ধার প্রয়োজন তাহ কাহারও নাই, প্রত্যেকে স্বতন্ত্রভাবে নিজের দিকে তাকায়। ইহাতে কখনোই কোনো জিনিস বঁাধিতে পারে না। এই দৃঢ়নিষ্ঠ প্রাণপণ লয়ালটি যদি জাতীয় চরিত্রের মধ্যে সঞ্চারিত হয় তবে সমস্ত সম্মিলিত শুভানুষ্ঠান সম্ভবপর হয়।’ কথাটা আমার মনে লাগিল। অম্বুষ্ঠানের দ্বারা মঙ্গলসাধন করা যায়, এ কথাটা সত্য নহে— গোড়াতেই মানুষ আছে। আমাদের দেশে একজন মানুষকে আশ্রয় করিয়া এক-একটা কাজ জাগিয়া উঠে ; তাহার পরে সেই কাজকে যাহারা গ্রহণ করে তাহারা তাহাকে যতটা আশ্রয় করে ততটা আশ্রয় দেয় না। কারণ, তাহারা কাজের দিকে তেমন করিয়া তাকায় না যেমন করিয়া নিজের দিকে তাকায় । কথায় কথায় তাহাদের মুষ্টি শিথিল হইয়া পড়ে, বাধাকে তাহারা অতিক্রমের চেষ্ট না করিয়া বাধাকে ত্যাগ করিয়া পালাইতে চায়, এবং কেবলই মনে করিতে থাকে, ইহার চেয়ে আর কোনোরূপ অবস্থা হইলে ইহার চেয়ে আরও ভালো ফল পাওয়া যাইত। এমনি করিয়া তাহারা विक्रिम श्ब्रा वाग्न- ७कन्नै श्रङ गैiफ्रक्वे प्लेकूद्रा नैफ़ांब ७व९ *क्रिप्लेोहे बार्थ श्य । ভালোমন্দ বাধাবিপত্তি সমস্তটাকে বীরের মতো স্বীকার করিয়া আরব্ধ কর্মকে একান্ত লয়ালটির সঙ্গে শেষ পর্যন্ত বহন করিবার অধ্যবসায় যতদিন আমাদের সাধারণের চিত্তে না জাগিবে ততদিন সম্মিলিত হিতামৃষ্ঠান ও যৌথ বাণিজ্য আমাদের দেশে একেবারে অসম্ভব হইবে। এই লয়ালটি, ইহা বুদ্ধিগত নহে, ইহা হৃদয়গত, জীবনগত । সমস্ত অপূর্ণতার ভিতর দিয়া মানুষ নিজেকে কিসের জোরে বহন করে। একটা জীবনের গভীর আকর্ষণে । লাভ-লোকসানের সমস্ত হিসাব সেই জীবনের টানের কাছে লঘু। এমনটা যদি না হইত তবে কথায় কথায় সামান্ত কারণে, সামান্ত ক্ষতিতে, সামান্ত অসন্তোষে, মানুষ আত্মহত্যা করিয়া নিষ্কৃতি লইত। সেইরূপ যে কর্মে আমরা জীবনকে নিয়োগ করিয়াছি তাহার প্রতি যদি আমাদের জীবনগত নিষ্ঠ না থাকে, তাহার প্রতি যদি আমাদের একটা বেহিসাবি আকর্ষণ না থাকে, তাহার প্রতি পরাহত প্রভা লইয়া আমরা যদি পরাভবের দলেও দাড়াইতে না পারি, যদি মৃত্যুর মুখেও তাহার জয়পতাকাকে সর্বোচ্চে তুলিয়া ধরিবার বল না পাই, যদি অভিমস্থ্যর মতো ব্যুহের মধ্য হইতে বাছির হইবার বিস্কাটাকে আমরা একেবারে অগ্রাহ না করি, তাহা হইলে আমরা কিছুই স্থষ্টি করিতে পারিব না, রক্ষা করিতেও পারিব না। ইহা