পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথের সঞ্চয় 曜 Hr" 8వి) লাগিল। এমন অদ্ভুত ভাবনাও মাছৰ ছাড়া জার-কেহ ভাবে না। আমি দুই-পাওয়াল খাড়া জীব, আমার চায় পায়ের সংস্থান কি কোনোমতেই হইতে পারে। অতএব, চিরদিন আমি এক-এক পা ফেলিয়া ধীরে ধীরে চলিব আর ঘোড়া তড় বড় করিয়া চুটিয়া চলিবে, এ বিধানের অন্যথা হইতেই পারে না। কিন্তু, মানুষের অশান্ত মন এ কথা কোনোমতেই মানিল না। একদিন লে ফাল লাগাইয়া বনের ঘোড়াকে ধরিল । কেশর ধরিয়া তাহার পিঠের উপর চড়িয়া বসিয়া নিজের দেহের সঙ্গে ঘোড়ার চার পা জুড়িয়া লইল । এই চারটে পাকে সম্পূর্ণ নিজের বশ করিতে তাহার বহুদিন লাগিয়াছে, সে অনেক পড়িয়াছে, অনেক মরিস্থাছে, কিন্তু কিছুতেই দমে নাই। ঘোড়ার গতিবেগকে সে ডাকাতি করিয়া লইবেই এই তাহার পর্ণ । তাঁহারই জিত হইল। মন্দগামী মানুষ ক্ৰতগমনকে বাধিয়া ফেলিয়া আপনার কাজে খাটাইতে লাগিল । ডাঙায় চলিতে চলিতে মাহুৰ এক জায়গায় জালিয়া দেখিল সম্মুখে তাহার সমুদ্র, আর তো এগোইবার জো নাই। নীল জল, তাহার তল কোথায়, তাহার কূল দেখা যায় না। জার, লক্ষ লক্ষ ঢেউ তর্জনী তুলিয়া ভাঙার মাহুষদের শাসাইতেছে ; বলিতেছে, ‘এক পা যদি এগোও তবে দেখাইয়া দিব, এখানে তোমার জারিজুরি খাটিবে না।’ মাহুৰ তীরে বলিয়া এই অকূল নিষেধের দিকে চাহিয়া রছিল। কিন্তু, নিষেধের ভিতর দিয়া একটা মস্ত আহবানও আলিতেছে । তরঙ্গগুলা অট্টহাস্তে নৃত্য করিতেছে— ডাঙার মাটির মতো কিছুতেই তাহাদিগকে বাধিয়া রাখিতে পারে নাই । দেখিলে মনে হয়, লক্ষ লক্ষ ইস্কুলের ছেলে যেন ছুটি পাইয়াছে— চীৎকার করিয়া, মাতামাতি করিয়া, কিছুতেই তাহাজের আশ মিটিতেছে না ; পৃথিবীটাকে তাহারা যেন ফুটবলের গোলার মতো লাখি ছুড়িয়া চুড়িয়া আকাশে উড়াইয়া দিতে চায় । ইহা দেখিয়া মানুষের মন তীরে বসিয়া শান্ত হইয়া পড়িয়া থাকিতে পারে না । সমূত্রের এই মাতুনি মাহুষের রক্তের মধ্যে করতাল বাজাইতে থাকে। বাধাহীন জলরাশির এই দিগন্তৰিত্বত মুক্তিকে মাহুৰ জাপন করিতে চায়। সমূত্রের এই দূরত্বজয়ী আনন্দ্বের প্রতি মান্থব লোভ দিতে লাগিল। ঢেউগুলার মতো করিয়াই দিগন্তকে লুঠ করিয়া लहेबांब्र जश्च यांइरदब्र कांगनां । * কিন্তু, এমন অদ্ভূত সাধ মিটিৰে কী করিয়া ; এই তীরের রেখাটা পর্যন্ত মাহুষের অধিকারের সীমা— তাহার সমস্ত ইচ্ছাটাকে এই দাড়ির কাছে জাসিয়া শেষ করিতে হইবে। কিন্তু, মাছষের ইচ্ছাকে যেখানে শেষ করিতে চাওদা বায় সেইখানেই সে উচ্ছসিত হইয়া উঠে। কোনোমতেই সে বাখাকে চরম বলিয়া মানিতে চাহিল না।