পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথের সঞ্চয় · 8>Պ স্বধাধারে আপনারে তুমি আরো আরো আরো করো দান। ఇఇ ఇr $9); কেবল মানুষই বলে, আশার অস্ত নাই। পৃথিবীর আর-কোনো জীব এমন কথা বলে না। আর-সকল প্রাণী প্রকৃতির একটা সীমার মধ্যে প্রাণ ধারণ করে এবং তাহার মনের সমস্ত আকাঙ্ক্ষাও সেই সীমাকে মানিয়া চলে । জন্তুদের জাহার বিহার নিজের প্রাকৃতিক প্রয়োজনের সীমাকে লঙ্ঘন করিতে চায় না । এক জায়গায় তাহাদের সাধ মেটে এবং সেখানে তাহার ক্ষাস্ত হইতে জানে। অভাব পূর্ণ হইলে তাহাদের ইচ্ছা আপনি খামিয়া যায়, তাহার পরে আবার সেই ইচ্ছাকে তাড়না করিয়া জাগাইবার জন্ত তাহাদের দ্বিতীয় আর-একটা ইচ্ছা নাই । মাছুষের প্রকৃতিতে আশ্চর্য এই দেখা যায়, একটা ইচ্ছার উপর সওয়ার হইয়া আরএকটা ইচ্ছা চাপিয়া আছে । পেট ভরিয়া গেলে খাইবার ইচ্ছা যখন আপনি মিটিয়া যায়, তখনো সেই ইচ্ছাকে জোর করিয়া জাগাইয়া রাখিবার জন্ত মামুষের আর-একটা ইচ্ছা তাগিদ করিতে থাকে । সে কোনোমতে চাটুনি খাইয়া, ঔষধ প্রয়োগ করিয়া, আহারের অবলম্ন ইচ্ছাকে প্রয়োজনের উর্ধ্বেও চালনা করিতে থাকে। ইহাতে মাহুষের যথেষ্ট ক্ষতি করে । কারণ, ইহা স্বাভাবিক ইচ্ছা নহে। স্বাভাবিক ইচ্ছা সহজেই আপন প্রাকৃতিক স্বভাবের সীমার মধ্যে পরিতৃপ্ত হইয়া থাকে। আর, মামুষের এই অস্বাভাবিক ইচ্ছা কিছুতেই তৃপ্তি মানিতে চায় না। তাহার মধ্যে একটা কী আছে যে কেবলই বলিতেছে— আরও, আরও, আরও ! কিন্তু, যাহাতে মানুষের ক্ষতি করিতে পারে লে ইচ্ছা মামুষের থাকে কেন। নিজের এই দুরন্ত ইচ্ছাটার দিকে তাকাইম্বাই মাছুষ বিশ্বব্যাপারে একটা শয়তানের কল্পনা করিয়াছে। হিদি পুরাণের প্রথম নরনারী যখন স্বগোষ্ঠানে ছিল তখন ঈশ্বর তাহাদের ইচ্ছাকে প্রকৃতির সীমার মধ্যে র্বাধিয়া দিয়া বলিয়াছিলেন, "ইহার মধ্যেই সন্তুষ্ট থাকিয়ো। প্রাণের রাজ্যই তোমাদের রছিল, জ্ঞানের রাজ্যে লোভ দিয়ে না।’ স্বগোষ্ঠানের প্রত্যেক জীবজন্তুই সেই সন্তোষের সীমার মধ্যেই বন্ধ রহিল ; কেবল :