পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথের সঞ্চয় & ot, বুৰি তাহ বাহিরের দিকে কত শৰ গন্ধ স্পর্শ, কত মুহূর্তের চিন্তা ও জঙ্গভূতি, অথচ এই-সমস্তেরই ভিতর দিয়া যে-একটি জিনিস আপন সমগ্রতায় প্রকাশ পাইতেছে তাহাই আমি এবং তাহা তাহার বাহিরের রূপের প্রতিরূপ মাত্র নহে, বরঞ্চ বাহিরের বৈপরীত্যের দ্বারাই সে ব্যক্ত হইতেছে। বিশ্বরূপের অভরতর এই অপরূপকে প্রকাশ করিবার জন্যই শিল্পীদের গুণীদের এত ব্যাকুলতা। এইজন্য র্তাহাদের সেই চেষ্টা অস্থকরণের ভিতর দিয়া কখনোই সফল হইতে পারে না। অনেক সময়ে অভ্যাসের মোহে আমাদের বোধের মধ্যে জড়তা আসে। তখন, আমরা যাহাকে দেখিতেছি কেবলমাত্র তাহাকেই দেখি। প্রত্যক্ষ রূপ যখন নিজেকেই চরম বলিয়া আমাদের কাছে আত্মপরিচয় দেয় তখন যদি সেই পরিচয়টাকেই মানিয়া লই তবে সেই জড় পরিচয়ে আমাদের চিত্ত জাগে না । তখন পৃথিবীতে আমরা চলি, ফিরি, কাজ করি, কিন্তু পৃথিবীকে আমরা চিত্তারা গ্রহণ করি না। কারণ, এই পৃথিবীর অন্তরতর অপরূপতাই আমাদের চিত্তের সামগ্রী । অভ্যাসের আবরণ মোচন করিয়া সেই অপরূপতাকে উদঘাটিত করিবার কাজেই কবিরা গুণীরা নিযুক্ত। এইজন্য র্তাহারা আমাদের অভ্যস্ত রূপটির অনুসরণ না করিয়া তাহাকে খুব একটা নাড়া দিয়া দেন। তাহারা এক রূপকে আর-এক রূপের মধ্যে লইয়া গিয়া তাহার চরমতার দাবিকে অগ্রাহ করিয়া দেন । চোখে দেখার সামগ্রীকে তাহারা কানে শোনার জায়গায় দাড় করান, কানে শোনার সামগ্রীকে তাহারা চোখে দেখার রেখার মধ্যে রূপান্তরিত করিা ধরেন। এমনি করিয়া তাহারা দেখাইয়াছেন জগতে রূপ জিনিসটা ধ্রুব সত্য নহে, তাহা রূপকমাত্র ; তাহার অস্তরের মধ্যে প্রবেশ করিতে পারিলে তবেই তাহার বন্ধন হইতে মুক্তি, তবেই আনন্দের মধ্যে পরিত্রাণ। আমাদের গুণীরা ভৈরোতে টোড়িতে স্থর বাধিয়া বলিলেন, ইহা সকালবেলাকার গান । কিন্তু, তাহার মধ্যে সকালবেলার নবজাগ্রত সংসারের নানাবিধ ধ্বনির কি কোনো নকল দেখিতে পাওয়া যায়। কিছুমাত্র না। তবে ভৈরোকে টোড়িকে সকালবেলার রাগিণী বলিবার কী মানে হইল। তাহার মানে এই, সকালবেলাকার BBBD DD C BBBBD DDDBD BBBBBB BBB BBBBD DBBBB DD শুনিয়াছেন। সকালবেলাকার কোনো বহিরজের সঙ্গে এই সংগীতকে মিলাইবার চেষ্টা করিতে গেলে সে চেষ্টা ব্যর্থ হইবে। আমাদের দেশের সংগীতের এই বিশেষত্বটি আমার কাছে বড়ো ভালো লাগে । DBBB BB BBB BBB BBB BBB DBBD C BBBBBBD BB BBB