পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথের সঞ্চয় ☾Ꮼ> মহাদ্ধকার আপনাকে আলোকের লীলায় ব্যক্ত করিতেছে ; সেই আলোকের আবর্ত চঞ্চল, তাহ সর্বদা কম্পমান ; তাহা কোথাও বা শিখায়, কোথাও বা ফুলিঙ্গে, কোথাও বা ক্ষণকালের জন্য, কোথাও বা দীর্ঘকালের জন্ত উজ্জল হইয়া উঠিতেছে ; কিন্তু এই চঞ্চল আলোকমালাই অবিচলিত মহৎ অন্ধকারের বাণী । মাহুষের চিত্তের চঞ্চল ধারাটিও তেমনি বিশাল বিশ্বের এক প্রান্ত দিয়া নানা পথে নাকিয়া-বাকিয়া নানা শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত হইয়া কেবলই বিশ্বকে প্রকাশ করিতে করিতে চলিয়াছে। যেখানে সেই প্রকাশ পরিপূর্ণ ও প্রশস্ত সেইখানেই বিশ্বের চরিতার্থতা আনন্দে ও ঐশ্বর্ষের সমারোহে উৎসবময় হইয়া উঠিতেছে। নিস্তন্ধ রাত্রে দুই বন্ধুর যুদ্ধ কণ্ঠের কথাবার্তায় আমি মামুষের মনের মধ্যে সমস্ত বিশ্বের সেই জানন্দ, সেই ঐশ্বৰ্ষ অনুভব করিতেছিলাম । ইংলণ্ডের পল্লীগ্রাম ও পাদ্রি সকল সময়েই মানুষ যে নিজের যোগ্যতা বিচার করিয়া বৃত্তি অবলম্বন করিবার স্থযোগ পায় তাহা নহে— সেইজন্ত পৃথিবীতে কর্মরখের চাকণ এমন কঠোর স্বরে জার্তনাদ করিতে করিতে চলে। যে মানুষের মুদির দোকান খোলা উচিত ছিল সে ইস্কুল-মাস্টারি করে, পুলিলের দারোগ হওয়ার জন্ত যে লোক স্বই হইয়াছে তাহাকে পান্ত্রির কাজ চালাইতে হয়। অন্ত ব্যবসায়ে এইরূপ উলটাপালটাতে খুব বেশি ক্ষতি করে না, কিন্তু ধর্মব্যবসায়ে ইহাতে বড়োই অঘটন ঘটাইয়া থাকে। কারণ, ধর্ষের ক্ষেত্রে মানুষ বখাসম্ভব সত্য হইতে না পারিলে তাহাতে কেবল ষে ব্যর্থতা আনে তাহ নছে, তাহাতে অমঙ্গলের স্বষ্টি করে । খৃস্টানধর্মের আদর্শের সঙ্গে এ দেশের মানবপ্রকৃতির এক জায়গায় খুব একটা অসামঞ্জস্ত আছে, খৃস্টানশাস্থোপদিষ্ট একান্ত নম্রতা ও দাক্ষিণ্য এ দেশের স্বভাবসংগত নছে । প্রকৃতির সঙ্গে এবং মাহুষের সঙ্গে লড়াই করিয়া নিজেকে জয়ী করিবার উত্তেজনা ইহাঙ্গের রক্তে প্রাচীনকাল হইতে বংশানুক্রমে সঞ্চারিত হইয়া জালিয়াছে ; সেইজন্ত সৈন্তদলে বাছাদের ভক্তি হওয়া উচিত ছিল তাহারা যখন পাক্রির करण निबूख इब उषन थरर्षब ब्रॐ ज्ञउ उTांनं कब्रिब लांण छैक्झेरक श्बा फेरठं । সেইজন্ত রোপে আমরা সকল সময়ে পাজিদিগকে শান্ডির পক্ষে, সার্বজাতিক তারপরতার পক্ষে দেখিতে পাই না। যুদ্ধবিগ্রন্থের সময় ইহারা বিশেষভাবে ঈশ্বরকে