পথের সঞ্চর : " ees w" এমন একটা ভুল করিয়া বলি যে, আপনার সীমাকে লম্বন করিলেই বুৰি আমরা অসীমকে পাইব—যেন আত্মহত্যা করিলেই অমরজীবন পাওয়া যায়। ষেন আমি না হইয়া আর-কিছু হইলেই আমি খন্ত হইব। কিন্তু, আমি হওয়াও বা আর-কিছু হওয়া ষে তাহাই, সে কথা মনে থাকে না। আমার এই আমির মধ্যে যদি ব্যর্থতা থাকে তবে অস্ত কোনো আমিত্ব লাভ করিয়া তাহা হইতে নিষ্কৃতি পাইৰ না। আমার ঘটের মধ্যে ছিদ্র থাকাতে যদি জল বাহির হইয়া যায়, তবে সে জলের দোষ নছে। দুধ ঢালিলেও সেই দশা হইবে, এবং মধু ঢালিলেও তথৈবচ। জীবনে একটিমাত্র কথা ভাবিবার আছে যে, আমি সত্য হইব । আমি কবি হইব কি কৰ্মী হইব কি আর-কিছু হুইব, সেটা নিতান্তই ব্যর্থ চিন্তা । সত্য হইব এ কথার অর্থই এই, কোথায় আমার সীমা সেটা নিশ্চিতরূপে অবধারণ করিব। ভূত্বাশার প্রলোভনে সেইটে সম্বন্ধে যদি মন স্থির না করি, তবে সত্য ব্যবহার হইতে ভ্ৰষ্ট হইব । অহংকারকে যে আমরা রিপু বলি, লোভকে যে আমরা রিপু বলি, তাহার কারণ এই– আমাদের সীমা সম্বন্ধে লে আমাদিগকে ঠিকটা বুঝিতে দেয় না। সে আমাদের আপনাকে জানার তপস্তায় বাধা দিয়া কেবলই বলিতে থাকে, ‘তুমি যাহা তুমি তাহার চেয়ে আরও বেশি অথবা অন্ত-কিছু।” ইহা হইতে পৃথিবীতে যত দুঃখ, যত বিদ্বেষ, যত কাড়াকড়ি-হানাহানির স্বষ্টি হইতে থাকে এমন আর কিছুতেই না। যাহা মিথ্যা তাহাকেই গায়ের জোরে সত্য করিতে গিয়া পৃথিবীতে যত-কিছু অমঙ্গলের উৎপত্তি হয় । সীমাহীনতার প্রতি আমাদের একটা প্রবল আকর্ষণ আছে, সেই আকর্ষণই আমাদের জীবনকে গতিদান করে। সেই আকর্ষণকে অবহেলা করিয়া নিশ্চেষ্ট হুইস্ক বসিয়া থাকিলে মঙ্গল নাই। ভূষাকে আমাদের পাইতেই হইবে, সেই পাওয়াতেই আমাদের মুখ । * কিন্তু, নিজের সীমার মধ্যেই সেই অসীমকে পাইতে হইবে, ইহা ছাড়া গতি নাই। সীমার মধ্যে অসীমকে ধরে না, এই ভ্রান্ত বিশ্বাসে আমরা অসীমকে খর্ব করিয়া থাকি । এ কথা সত্য, এক সীমার মধ্যে অন্ত সীমাবদ্ধ পদার্থ সম্পূর্ণ স্থান পায় না। কিন্তু, অসীমের সম্বন্ধে সে কথা খাটে না। তিনি একটি বালুকণার মধ্যেও অসীম। এইজন্ত একটি বালুকণাকেও যখন সম্পূর্ণরূপে সর্বতোভাবে আয়ত্ত করিতে যাই তখন দেখি, বিশ্বকে আয়ত্ত না করিলে তাহাকে পাইবার জো নাই ; কারণ, এক জায়গা নিধিলের সঙ্গে লে অবিচ্ছেন্ত, তাহার এমন একটা দিক আছে যে দিকটাতে কিছুতেই তাহাকে cचय कन्नां शांब्र नीं । । o १ | قی
