পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*itधंद्व शंख्र &ఆసి

সামাজিক অবস্থায় পরিবর্তন ঘটিতেছেই এবং ঘটিবেই, কেহ তাহাকে ঠেকাইয়া রাখিতে পরিবে না— অথচ ব্যবস্থাকে সনাতন রেখায় পাকা করিয়া রাখিলে মানুষের পক্ষে তেমন দুৰ্গতির কারণ আর-কিছুই হইতে পারে না। এ কেমনতরো। যেমন, নদী সরিয়া যাইতেছে কিন্তু বাধা ঘাট একই জায়গায় পড়িয়া আছে, খেয়ানৌকার পথ একই জায়গায় নির্দিষ্ট ; সে ঘাট ছাড়া অন্ত ঘাটে নামিলে ধোবা নাপিত বন্ধ। স্বতরাং ঘাট আছে কিন্তু জল পাই না, নৌকা আছে কিন্তু তাহার চলা বন্ধ । এমন অবস্থায় আমাদের সমাজ আমাদের কালের উপযোগী শিক্ষা আমাদিগকে দিতেছে না ; আমাদিগকে দুই-চারি হাজার বৎসর পূর্বকালের শিক্ষণ দিতেছে। অতএব, মানুষ করিয়া তুলিবার পক্ষে সকলের চেয়ে যে বড়ো বিদ্যালয় সেটা আমাদের বন্ধ । আমাদের বর্তমান কালের দিকে তাকাইয়া আমাদের জীবনযাত্রার প্রতি তাহার কোনো দাবি নাই। একদিন আমাদের ইতিহাসের একটা বিশেষ অবস্থায় আমাদের সমাজ মাহুষের কাছাকেও ব্রাহ্মণ, কাছাকেও ক্ষত্রিয়, কাহাকেও বৈগু বা শূত্র হইতে বলিয়াছিল। আমাদের প্রতি তাহার এই একটা কালোপযোগী দাবি ছিল, সুতরাং এই দাবির প্রতি লক্ষ রাখিয়া শিক্ষার ব্যবস্থা বিচিত্র আকারে আপনিই আপনাকে रुडे कब्रिग्न झुनिष्उश्णि । काब्र१, श्रृंडेब्र निबबहे उहे । ७को भूल उत्वव्र शैव জীবনের তাগিদে স্বতই আপন শাখা-প্রশাখা বিস্তার করিয়া বাড়িয়া ওঠে, বাছির হইতে কেহ ডালপালা সংগ্ৰহ করিয়া আনিয়া জুড়িয়া দেয় না। আমাদের বর্তমান সমাজের কোনো সজীব দাবি নাই— এখনো সে মাহবকে বলিতেছে, ‘ব্রাহ্মণ হও, শূত্র হও । যাহা বলিতেছে তাহা সত্যভাবে পালন করা কোনোমতেই সম্ভবপর নহে, স্বতরাং মানুষ তাহাকে কেবলমাত্র বাহিরের দিক হইতে মানিয়া লইতেছে। ব্ৰাহ্মণ হইবার কালে ব্রহ্মচর্ষ নাই ; মাথা মুড়াইয়া তিন দিনের প্রহসন-অভিনয়ের পর গলায় সূত্ৰধারণ আছে । তপস্তার দ্বারা পবিত্র জীবনের শিক্ষণ ব্রাহ্মণ এখন আর জান করিতে পারে না, কিন্তু পদধূলিদানের বেলায় সে অসংকোচে মুক্তপদ। এ দিকে জাতিভেদের মূল প্রতিষ্ঠা বৃত্তিভেদ একেবারেই ঘুচিয়া গেছে এবং তাছাকে রক্ষা করাও সম্পূর্ণ অসম্ভব হইয়াছে, অথচ বর্ণভেদের বাহ বিধিনিষেধ সমস্তই অচল হইয়া বসিয়া আছে। খাচাটাকে তাছার সমস্ত লোহার শিক ও শিকল-সমেত মানিতেই হইবে, অথচ পাৰিটা মরিয়া গেছে । দানাপানি নিয়ত জোগাইতেছি অথচ তাহা কোনো প্রাণীর খোরাকে লাগিতেছে না। এমনি করিয়া আমাদের সামাজিক জীবনের সঙ্গে সামাজিক বিধির বিচ্ছেদ ঘটিয়া ধাওয়াতে আমরা কেবল ষে অনাৰপ্তক কালবিরোধী ব্যবস্থার দ্বারা বাধাগ্রস্ত হইয়া আছি তাহা নছে, আমরা সামাজিক সতরক্ষা করিতে পারিতেছি না । আমরা