পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী د ' ۰هه তখন শহরে না ছিল গ্যাস, না ছিল বিজলি বাতি ; কেরোসিনের আলো পরে যখন এল তার তেজ দেখে আমরা অবাক । সন্ধ্যাবেলায় ঘরে ঘরে ফরাল এলে জালিয়ে যেত রেড়ির তেলের আলো । আমাদের পড়বার ঘরে জলত দুই সলতের একটা লেজ । মাস্টারমশায়’ মিট্‌মিটে আলোয় পড়াতেন প্যারী সরকারের ফার্স্ট বুক । প্রথমে উঠত হাই, তার পর জালত ঘুম, তার পর চলত চোখ-রগড়ানি। বারবার শুনতে হত, মাস্টারমশায়ের অন্ত ছাত্র সতীন সোনার টুকরো ছেলে, পড়ায় আশ্চৰ মন, ঘুম পেলে চোখে নতি ঘষে। আর আমি ? সে কথা বলে কাজ নেই। সব ছেলের মধ্যে একলা মুর্ধ হয়ে থাকবার মতো বিত্ৰ ভাবনাতেও আমাকে চেতিয়ে রাখতে পারত না। রাজি ন’টা বাজলে ঘুমের ঘোরে ঢুলু ঢুলু চোখে ছুটি পেতুম । বাহিরমহল থেকে বাড়ির ভিতর ধাবার সরু পথ ছিল খড় খড়ির আক্র-দেওয়া, উপর থেকে ঝুলত মিট্‌মিটে আলোর লণ্ঠন। চলতুম আর মন বলত কী জানি কিলে বুঝি পিছু ধরেছে। পিঠ উঠত শিউরে। তখন ভূত প্রেত ছিল গল্পে-গুজবে, ছিল মানুষের মনের আনাচে-কানাচে। কোন দাগী কখন হঠাৎ শুনতে পেত শাকচুল্লির নাকি স্বর, দড়াম করে পড়ত আছাড় খেয়ে । ঐ মেয়ে-ভূতটা সবচেয়ে ছিল বদমেজাজি, তার লোভ ছিল মাছের পরে। বাড়ির পশ্চিম কোণে ঘন-পাতা-ওয়ালা বাদামগাছ, তারই ডালে এক পা আর অন্ত পা’টা তেতালার কানিসের পরে তুলে দাড়িয়ে থাকে একটা কোন মূর্তি— তাকে দেখেছে বলবার লোক তখন বিস্তর ছিল, মেনে নেবার লোকও কম ছিল না। দাদার এক বন্ধু যখন গল্পটা ছেলে উড়িয়ে দিতেন তখন চাকররা মনে করত লোকটার ধর্মজ্ঞান একটুও নেই, দেবে একদিন ঘাড় মটকিয়ে, তখন বিঞ্চে বাৰে বেরিয়ে । সে সময়টাতে হাওয়ায় হাওয়ায় আতঙ্ক এমনি জাল ফেলে ছিল যে, টেবিলের নীচে পা রাখলে পা স্বত্ব স্বত্ব করে উঠত। তখন জলের কল বলে নি । বেহারা বাখে ক'রে কলসী ভ'রে মাঘ-ফাগুনের গজায় জল তুলে জানত। একতলার অন্ধকার ঘরে সারি সারি ভরা থাকত বড়ো বড়ো জালায় সারা বছরের খাবার জল। নীচের তলায় লেই-সব স্যাংলেতে এখে কুটুরিতে গা ঢাকা দিয়ে বারা বাসা করে ছিল কে না জানে তাদের মন্ত ই, চোখ দুটো বুকে, কান দুটো কুলোর মতে, পাছটাে উলটাে দিকে। সেই ভূতুড়ে ছায়ার সামনে নিয়ে যখন বাড়িভিতরের বাগানে বেতুম, তোলপাড় করত বুকের ভিতরট, পাছে লাগাত তাড়া । 3. “बार्कीच ऋषांब बांबू-शैक्नवच्,ि इरीब-ब्रध्नाक्नी, नखनन प०,१२४०