পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলেবেল 位>á দেওয়া ধি-তেলের দিনে। একটা কথা মনে রাখা দরকার, তখনও বাজারে চকোলেট দেখা দেয় নি। ছিল এক পয়সা দামের গোলাপি-রেউড়ি। গোলাপি গন্ধের আমেজদেওয়া এই তিলে-ঢাকা চিনির ভ্যালা আজও ছেলেদের পকেট চটচটে ক’রে তোলে । কি না জানি নে— নিশ্চয়ই এখনকার মানী লোকের ঘর থেকে লজ্জায় দৌড় মেরেছে। সেই ভাজা মসলার ঠোঙা গেল কোথায় । আর সেই সস্তা দামের তিলে গজা ? সে কি এখনও টিকে আছে । না থাকে তো তাকে ফিরিয়ে আনার দরকার নেই। ব্ৰজেশ্বরের কাছে সন্ধেবেলায় দিনে দিনে শুনেছি কৃত্তিবাসের সাতকাণ্ড রামায়ণটা । সেই পড়ার মাঝে মাঝে এসে পড়ত কিশোরী চাটুজ্যে। সমস্ত রামায়ণের পাচলি ছিল স্বরসমেত তার মুখস্থ । সে হঠাৎ আসন দখল করে কৃত্তিবাসকে ছাপিয়ে দিয়ে হ হ করে আউড়িয়ে যেত তার পাচলির পালা। ‘ওরে রে লক্ষণ, এ কী অলক্ষণ, বিপদ ঘটেছে বিলক্ষণ।" তার মুখে হাসি, মাথায় টাক ঝক ঝক করছে, গলা দিয়ে ছড়া-কাটা লাইনের ঝরনা স্বর বাজিয়ে চলছে, পদে পদে শব্দের মিলগুলো বেজে ওঠে যেন জলের নিচেকার মুড়ির আওয়াজ । সেই সঙ্গে চলত তার হাত পা নেড়ে ভাব-বাংলানো । কিশোরী চাটুজ্যের সবচেয়ে বড়ো আপলোস ছিল এই যে, দাদাভাই অর্থাৎ কিনা আমি, এমন গলা নিয়ে পাচলির দলে ভরতি হতে পারলুম না। পারলে দেশে যা-হয় একটা নাম থাকত । রাত হয়ে আসত, মাছর-পাত বৈঠক যেত ভেঙে। ভূতের ভয় শিরদাঁড়ার উপর চাপিয়ে চলে যেভূম বাড়ির ভিতরে মায়ের ঘরে। মা তখন তার খুড়িকে নিয়ে তাস খেলছেন । পংখের-কাজ-করা ঘর হাতির দাতের মতো চকচকে, মস্ত তক্তপোশের উপর জাজিম পাতা। এমন উৎপাত বাধিয়ে দিতুম ষে তিনি হাতের খেলা ফেলে দিয়ে বলতেন, ‘জালাতন করলে, যাও খুড়ি, ওদের গল্প শোনাও গে।” আমরা বাইরের বারান্সার ঘটির জলে পা ধুয়ে দিদিমাকে টেনে নিয়ে বিছানায় উঠতুম। সেখানে । শুরু হত দৈত্যপুরী থেকে রাজকন্যার ঘুম ভাঙিয়ে আনার পালা। মাঝখানে আমারই ঘুম ভাঙায় কে। রাতের প্রথম পছরে শেয়াল উঠত ডেকে। তখনও শেয়াল-ডাকা রাত কলকাতার কোনো কোনো পুরোনো বাড়ির ভিতের নীচে ফুকরে উঠত। ' 8. আমরা যখন ছোটো ছিলুম তখন সন্ধ্যাবেলায় কলকাতা শহর এখনকার মতো এত বেশি সজাগ ছিল না। এখনকার কালে স্বর্ষের আলোর নিটা ৰেমনি ফুরিয়েছে चबनि उक्र श८ब्रदइ दिखणि चांटणांब्र निन । ¢ण गयच्चकैोरङ *श्रब्र कांछ कम क्रूि