পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলেৰেলা । tఏS দিকে। এ বাড়ির বারাশায় বুকে পড়ে তাকিয়ে থাকতুম, দেখতুম ও বাড়ির নাচঘর আলোয় আলোময়। দেউড়ি সামনে বড়ো বড়ো জুড়িগাড়ি এসে জুটেছে। সদর দরজার কাছ থেকে দাদাদের কেউ কেউ অতিথিদের উপরে আগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। গোলাপপাশ থেকে গাঁয়ে গোলাপজল ছিটিয়ে দিচ্ছেন, হাতে দিচ্ছেন ছোটো একটি করে তোড়া । নাটকের থেকে কুলীন মেয়ের ফুপিয়ে কাল্লা কখনো কখনো কানে আসে, তার মর্ম বুঝতে পারি নে। বোঝবার ইচ্ছেটা হয় প্রবল। খবর পেতুম যিনি কাদতেন তিনি কুলীন বটে, কিন্তু তিনি আমার ভগ্নীপতি।’ তখনকার পরিবারে যেমন মেয়ে আর পুরুষ ছিল দুই সীমানায় দুই দিকে, তেমনি ছিল ছোটোরা আর বড়োরা । বৈঠকখানায় ঝাড়-লণ্ঠনের আলোয় চলছে নাচগান, গুড়গুড়ি টানছেন বড়োর দল, মেয়েরা লুকনো থাকতেন করোখার ও পারে, চাপা আলোয় পানের বাট নিয়ে, সেখানে বাইরের মেয়েরা এসে জমতেন, ফিসফিস করে চলত গেরস্তালির খবর। ছেলেরা তখন বিছানায়। পিয়ারী কিংবা শংকরী গল্প শোনাচ্ছে, কানে আসছে— ‘জোচ্ছনায় যেন ফুল ফুটেছে— 6. আমাদের সময়কার কিছু পূর্বে ধনীঘরে ছিল শখের যাত্রার চলন। মিছিগলাওয়ালা ছেলেদের বাছাই করে নিয়ে দল বাধার ধুম ছিল। আমার মেজকাকা ছিলেন এইরকম একটি শখের দলের দলপতি । পালা রচনা করবার শক্তি ছিল তার, ছেলেদের তৈরি করে তোলবার উৎসাহ ছিল । ধনীদের ঘরপোষা এই যেমন শখের যাত্রা তেমনি ব্যাবসাদারী যাত্রা নিয়েও বাংলাদেশের ছিল ভারি নেশা। এ পাড়ায় ও পাড়ায় একএকজন নামজাদা অধিকারীর অধীনে যাত্রার দল গজিয়ে উঠত। দলকর্তা অধিকারীরা সবাই যে জাতে বড়ো কিংবা লেখাপড়ায় এমন-কিছু তা নয়। তারা নাম করেছে আপন ক্ষমতায় । আমাদের বাড়িতে যাত্রাগান হয়েছে মাঝে মাঝে । কিন্তু রাস্তা নেই, ছিলুম ছেলেমান্থৰ । আমি দেখতে পেয়েছি তার গোড়াকার জোগাড়বস্তর। বারান্দা জুড়ে বলে গেছে দলবল, চারি দিকে উঠছে তাষাকের ধোয়া ছেলেগুলো লম্বা-চুল-ওয়ালা, চোখে-কালি-পড়া, অল্প বয়সে তাদের মুখ গিয়েছে পেকে। পান খেয়ে খেয়ে ঠোঁট ১ ৰছনাৰ মুখোপাখা, শরৎকুমাইমেৰীৰ चाबी ২ গিরীন্দ্রনাথ ঠাকুর,’ৰাবুবিলাস নাটকের লেখক ՞ թ.